করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে চীনের উহান শহরে পৌঁছেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ১০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত ওই দলটি বৃহস্পতিবার উহানে পৌঁছায় বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আট মাস পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে নতুন করে কারো মৃত্যুর দিনই বিশেষজ্ঞ দলটি দেশটিতে পৌঁছাল।
চীনের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী উহানের একটি হোটেলে দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে ওই বিশেষজ্ঞরা থাকবেন বলে জানান দলের প্রধান পিটার বেন এমবারেক।
এমবারেক বলেন, ‘কোয়ারেন্টিন শেষে চীনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমরা দেখা করব। এরপর বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে যাব। কী হয়েছে তা পুরোপুরি বুঝতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হতে পারে আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক এই অনুসন্ধানের পরই আমরা করোনার উৎস বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর পাব, তা মনে করি না। তবে উত্তর খোঁজার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।’
চীনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়, উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, ভাইরাসটির উৎসস্থল সেখানেই।
ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দলের অনুসন্ধান কাজ বানচালের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা শেষে গত মাসে সংস্থাটিকে করোনার উৎস অনুসন্ধানের অনুমতি দেয় চীন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষের।
কঠোর লকডাউন ও গণহারে করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে এর বিস্তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় চীন। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায়।
প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এ মুহূর্তে চীনের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত দুই কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউনের মধ্যে আছে। দেশটির একটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশটিতে ১৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের মার্চের পর এ সংখ্যা দৈনিক শনাক্তের দিক থেকে সর্বোচ্চ।