অর্থ পাচারের অভিযোগে ভারতের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য কেডি সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। কেডি সিং অ্যালকেমিস্ট নামে একটি অর্থলগ্নী সংস্থা চালাতেন। অভিযোগ, সেই সংস্থার হয়ে বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস কেডি সিংয়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দায় এড়াতে চেয়েছে। দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘কেডি সিং এখন আর সাংসদ নন। আমাদের দলেও তিনি নেই। ফলে তৃণমূলকে জড়ানো অর্থহীন।’
তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘কেডি সিংকে দলে এনেছিলেন মুকুল রায়। তিনি এখন বিজেপির নেতা। তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হোক। মুকুলবাবু গ্রেপ্তারি এড়াতেই বিজেপিতে গিয়েছেন।’
বিজেপি অবশ্য কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তার নিয়ে রাজনৈতিক রং দেখতে রাজি নয়। তাঁদের মতে, অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে সেটাই বড় কথা। সেইসঙ্গে তাদের কটাক্ষ, তৃণমূলের সকলেই জড়িত চিটফান্ড কাণ্ডে।
বিজেপি নেত্রী ডা. অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল নেতারা। চিটফান্ডের রমরমার জন্য তৃণমূল নেতারাই দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মদদ দিয়েছেন দুর্নীতিতে।'
অবশ্য পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলেরও। খোদ মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘তৃণমূলে থাকলে কালো, আর বিজেপিতে গেলেই সবাই ভালো!’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের বহু নেতাই এখন বিজেপিতে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘দলের আকার বাড়াতে সকলকেই এখন নেওয়া হচ্ছে। তবে পরে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নেয়া হবে।’