বড় ধরনের ব্ল্যাকআউটে পড়েছে পাকিস্তান। এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বড় শহরগুলোসহ পুরো দেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে।
দেশটির বিদ্যুৎমন্ত্রীর এক বিবৃতির বরাতে ডন লিখেছে, শনিবার মাঝ রাতের আগে এই ব্ল্যাকআউট হয়।
বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায় করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতানের মতো বড় বড় শহরের পাশাপাশি অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ব্লাকআউটের কথা জানিয়ে টুইট করেন দেশটির বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান। তিনি জানান, শহরগুলোতে ধাপে ধাপে জ্বালানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। শুরুটা করা হয়েছে ইসলামাবাদ দিয়ে। তবে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল এখনও বিদ্যুৎ বিপর্য়ের মধ্যে রয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে জ্বালানি সরবরাহের মাত্রা হঠাৎ করেই ৫০ থেকে শূন্যতে নেমে আসায় এই ব্ল্যাকআউট হয়েছে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান। জনসাধারণকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তিনি।
বিবিসি লিখেছে, পাকিস্তানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ঘটনা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। ব্ল্যাকআউটে হাসপাতালের মতো অতি জরুরি সেবাগুলো ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে চালু রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, দেশটির কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ ফিরে এসেছে। কারিগরি দলগুলো কাজ করে যাচ্ছে। পুরো দেশে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে রোববার সকাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
ব্লাকআউটের ফলে পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ তদারকি প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস।
এর আগে ২০১৫ সালে বড় ধরনের ব্লাকআউটের কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। ওই সময়ে গোটা দেশের ৮০ শতাংশ এলাকা অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছিল।
এবারের ব্ল্যাকআউটকে পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম বাজে হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজধানী ইসলামাবাদ, বন্দরনগরী করাচিসহ বড় শহরগুলো একসঙ্গে অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়া খুব বেশি দেখা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে দেশটির একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রমও।