বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিখোঁজ বিমানটি জাভা সাগরে ‘বিধ্বস্ত’

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:০২

শ্রীবিজয়া এয়ারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৬ জন ক্রুসহ ৪০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক, ৬ শিশু ও তিন নবজাতক ছিল, এদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে উড়াল দেয়া যে বিমানটি নিখোঁজের কথা বলা হচ্ছিল সেটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ধারণার কারণ, জাকার্তা শহরের উত্তরাঞ্চলীয় জাভা সাগরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা।

অবশ্য এই ধ্বংসাবশেষ নিখোঁজ শ্রীবিজয়া এয়ারেরই, সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলেনি কর্তৃপক্ষ।

সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস জানাচ্ছে, শহরের উত্তরাঞ্চলে পানিতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। সেগুলো শ্রীবিজয়ার কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

শ্রীবিজয়া এয়ারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৬ জন ক্রুসহ ৪০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক, ৬ শিশু ও তিন নবজাতক ছিল, এদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শ্রীবিজয়া বলছে, তারা এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ ও অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এ জন্য তারা যাত্রীদের পরিবারকে যেকোনো তথ্যের জন্য দুটি হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে।

দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানটি শনিবার রাজধানী জাকার্তা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ কালিমান্তানের পন্তিয়ানাকেতে যাচ্ছিল।

নিখোঁজ শ্রীবিজয়া এয়ারের উড়োজাহাজ

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদিতা ইরাবতি জানান, জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপের পন্তিয়ানাকগামী শ্রীবিজয়া এয়ারের এসজেওয়াই১৮২ নম্বরের একটি বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিমানটির সঙ্গে সবশেষ যোগাযোগ হয় স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায়।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, শ্রীবিজয়ার এসজে ১৮২ ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে উড়াল দেয়ার প্রায় চার মিনিটের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি ফুট উচ্চতায় পৌঁছায়। সেখানে এক মিনিটের কম অবস্থানের পরই নিখোঁজ হয়।

বিমানটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ও ক্রু ছিল সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে কর্মকর্তাদের বরাতে ইকনোমিক টাইমস জানিয়েছে, বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ছিল।

এএফপি বলছে বিমানটির যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় ১৩০ জন। জাভা সাগর পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিমানটির সময় লাগতো প্রায় দেড় ঘণ্টা।

জাকার্তার উপকূলের মৎসজীবীরা স্থানীয় এক টেলিভিশনকে জানান, তারা কিছু ধ্বংসাবশেষ পেয়েছেন। কিন্তু এসব নিখোঁজ বিমানের কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ইন্দোনেশিয়ায়।

তখন লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের একটি বিমান জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হলে ১৮৯ যাত্রীর মৃত্যু হয়। বিমানটি উড্ডয়নের প্রায় ১২ মিনেটের মাথায় কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর