সারা ভারতে কোভিডের টিকা কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়ে সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার বিকেল চারটায় আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার আগে শনিবার এ নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রথম দফার করোনা টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে।
এ বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিকা দেয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মীরা। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যাটি প্রায় ৩ কোটি। এরপর যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি এমন ২৭ কোটি ভারতীয়কে দেয়া হবে করোনার টিকা। তারপর পঞ্চাশের কম বয়সি যাদের অন্য প্রাণঘাতী রোগ (কো-মর্বিডিটি) রয়েছে, তারা করোনার টিকা পাবেন।
বছরের শুরুতেই অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেছে করোনা টিকার ‘ড্রাই–রান’। বিভিন্ন রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাতেও কীভাবে বুথ স্তরের পরিকাঠামো তৈরি করে টিকা দেয়া হবে, তারই প্রস্তুতি চলছে এ মহড়ায়।
তখন থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৩ জানুয়ারি বা তার আগেই দেশে টিকা দেয়া শুরু করা হবে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ১৩ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৬ জানুয়ারি টিকা অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য কো-উইন বলে একটি অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করার মাধ্যমে টিকা দেয়ার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ, জানিয়েছে কেন্দ্র।