ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন তাণ্ডবের মধ্যেই জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
যৌথ অধিবেশনে ভেরমন্টের তিনটি ইলেকটোরাল বাইডেনের পক্ষে গণনা করার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের জয় নিশ্চিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে জয় পেতে হয় ২৭০টিতে। গত ৩ নভেম্বরের ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয় পান ৩০৬টি ইলেকটোরালে। ট্রাম্প পান ২৩২ ইলেকটোরালে।
ভোটে হারের পর থেকেই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখান করে আসছিলেন ট্রাম্প। তার দাবি, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তার কাছ থেকে জয় কেড়ে নেয়া হয়েছে।
একাধিক অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল স্থগিত চেয়ে আদালতেও যায় ট্রাম্প শিবির। কিন্তু জালিয়াতির কোনো প্রমাণ হাজির করতে না পারায় বিচারকেরা এসব অভিযোগ আমলে নেয়নি।
এর মধ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজগুলো বাইডেনকেই বিজয়ী ঘোষণা করে।
নিয়মানুযায়ী চূড়ান্ত ধাপে ভাইস প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ইলেকটোরালগুলো আবার গণনা করে বিজয়ী বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
ফলে হোয়াইট হাউজে যেতে আর কোনো বাধা নেই বাইডেনের। আগামী ২০ জানুয়ারি দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
বাইডেনের জয় ঠেকাতে বুধবার কংগ্রেসের অভিবেশন চলাকালে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। সহিংসতা চালানো হয় ওয়াশিংটন ডিসির অন্যান্য এলাকায়ও। এতে নিহত হয়েছেন চার জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
কয়েক ঘণ্টা বিরতি শেষে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের আহ্বানে আবার শুরু হয় অধিবেশন।
সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের সভায় জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ার ফল স্থগিতের দাবি তোলে রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা। কিন্তু তা প্রত্যাখাত হয়।
অ্যারিজোনা, নেভাদা ও মিশিগানের ইলেকটোরাল ভোটও স্থগিতের দাবি তোলে রিপাবলিকানরা। কিন্তু এই আপত্তি বিতর্ক পর্যায়ে যাওয়ার আগেই তা প্রত্যাখাত হয়।