বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এটা আমেরিকা নয়’

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:০১

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবে নিন্দা জানিছেন বিশ্ব নেতারা।

অন্য দেশের নির্বাচনী সহিংসতায় যারা বছরের পর বছর নিন্দা জানিয়ে এসেছে এবার সেই যুক্তরাষ্ট্র দেখছে উল্টো চিত্র। ওয়াশিংটন ডিসিতে ডনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন সহিংসতা চালানোর পর তাদের নিন্দায় মুখর গোটা বিশ্ব।

জো বাইডেনকে জয়ের স্বীকৃতি দিতে ক্যাপিটল ভবনে বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় এ তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা।

এতে চার জন নিহতের খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে আরোপ করা হয়েছে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবে নিন্দা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরস।

তার মুখপাত্রের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে অনুসারীদের সহিংসতা থেকে বিরত রাখতে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রাখা উচিত। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত।’

ওয়াশিংটন ডিসিতে মুখোমুখি পুলিশ ও ট্রাম্প সমর্থকরা।

ক্যাপিটল হিলে এমন সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সাধারণ সভার সভাপতি বলকান বজকিরও।

মার্কিন কংগ্রেসে সহিংসার পর পরই টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি বলেন, ‘এটা আমেরিকা নয়।’

ফ্রান্স গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে জানিয়ে মাখোঁ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর আমার বিশ্বাস আছে।’

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে দ্রিয়ঁ। লিখেছেন- ‘আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই সহিংসতা গণতন্ত্রের ওপর বড় আঘাত। আমি এর নিন্দা জানাই। আমেরিকার জনগণের ইচ্ছা ও ভোটকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত।’

পুলিশের বাধাতেও অনড় ট্রাম্পের সমর্থকরা।

এই ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন বলে জানালেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল। মার্কিন কংগ্রেসকে ‘গণতন্ত্রের মন্দির’ উল্লেখ করেছেন তিনি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন ইইউর মুখপাত্র।

আর ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট টুইটারে লিখেছেন- ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের শক্তির ওপর আমার বিশ্বাস আছে।…যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’

ন্যাটো প্রধান জিন্স স্টোলটেনবার্গ লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে কী মর্মান্তিক দৃশ্য। গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত।’

ওয়াশিংটনের পরিস্থিতি তুরস্ক নজর রাখছে বলে জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ‘ক্যাপিটল ভবনে হামলা চেষ্টাসহ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিগুলো তুরস্ক পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঘরোয়া সঙ্কট শান্তিপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠবে।’

তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার মুস্তাফা সেন্তফ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমেরিকার ঘটনাগুলোতে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দৃষ্টি রাখছি। তাদেরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এসব সমস্যা আইন ও গণগন্ত্রের মাধ্যমেই সমাধানযোগ্য হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

ক্যাপিটল হিলের সামনে মারমুখী ট্রাম্প সমর্থকরা

ক্যাপিটল হিলে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বাইডেনের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ইউএস কংগ্রেসে কী লজ্জাকর দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের পেছনে দাঁড়ায়। দেশটিতে এখন শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা দরকার।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিনিটের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভাঙ্কুভারের একটি রেডিওকে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমেরিকান গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই শক্তিশালী। আশা করি, সবকিছু দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা অনেক অন্যান্য দেশের নেতারাও।

এ বিভাগের আরো খবর