জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দিতে ক্যাপিটল ভবনে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় তাণ্ডব চালিয়েছে ট্রাম্প সমর্থকরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো লিখেছে, ইতিহাসে নজিরবিহীন এই তাণ্ডবে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী নিহত হয়েছে।
ট্রাম্পের অস্ত্রধারী সমর্থকদের এমন কাণ্ডে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। নিন্দা জানিয়েছেন বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনের মতো ব্যক্তিত্বরা।
তবে সহিংসতার নিয়ন্ত্রণে আসায় আবার বসেছে কংগ্রেসের অধিবেশন। এতে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেয়া হবে। ফলে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার জন্য আর কোনো বাধা থাকবে না তার।
সহিংসার সময় আইনপ্রণেতাদের সরিয়ে নেয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ।
কংগ্রেসের হলগুলোতেও ট্রাম্প সমর্থকরা ঢুকে পড়লে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ক্যাপিটল হিল থেকে তাদের বিতাড়িত করতে সমর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী প্রাণ হারায়। এ ছাড়া ভবনটি থেকে দুটি বিস্ফোরক উদ্ধার করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ক্যাপিটল হিল পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে রাত আটটায় আবার অধিবেশনে আসতে শুরু করেন আইন প্রণেতারা।
নিম্নকক্ষ ও সিনেটের এই যৌথ অধিবেশনের সভাপতি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি বলেন, ‘ক্যাপিটলে আজ যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা জিততে পারেনি। আসুন কাজে ফিরে আসি।’
উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ‘আমরা ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজয়ীকে স্বীকৃতি দেব।’
ট্রাম্প সমর্থকদের হাঙ্গামাকে ‘ব্যর্থ বিদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিতি কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ভাবা হয়ে থাকে। ইউএস ক্যাপিটাল হিস্টোরিকাল সোসাইটি বলছে, ১৮১৪ সালে ক্যাপিটাল হিল ব্রিটিশ সেনাদের পুড়িয়ে দেয়ার পর আইকনিক এই ভবনে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ।
কংগ্রেসে অধিবেশনে শুরু হওয়ার আগে ট্রাম্প তার সমর্থকদের আহ্বান জানান, ভোটের বিষয়টি নিয়ে ক্যাপিটলে গিয়ে তাদের ক্ষোভ দেখানো উচিত। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখান বিষয়ে চাপ তৈরি করা উচিত। এ জন্য সমর্থকদের লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।