ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া নিজ দেশের জন্য টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি অন্য দেশেও সরবরাহ করতে পারবে। মঙ্গলবার ভারত বায়োটেকের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে সিরাম জানিয়েছে, সকল দেশের জনগণের জন্যই টিকা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা কোভিড-১৯ টিকার বৈশ্বিক অভিগম্যতার (গ্লোবাল অ্যাকসেস) অঙ্গীকার করছে।
সিরামের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা ও ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কৃষ্ণা এল্লা মঙ্গলবার এ যৌথ বিবৃতি দেন।
টুইটে তারা জানিয়েছেন, ভারতসহ বিশ্বের সব মানুষের জীবন বাঁচাতে টিকা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ নিশ্চিত করা তাদের মূল লক্ষ্য।
টিকাদানের কাজ মসৃণভাবে সম্পন্ন করার জন্য তারা ভারত এবং বিশ্বের কাছে দায়বদ্ধ বলেও জানায় সিরাম ও বায়োটেক। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই প্রতিষ্ঠানই টিকা উৎপাদন চালিয়ে যাবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা এক টুইট বার্তায় জানান, ভারত থেকে সব দেশেই টিকা রপ্তানির অনুমোদন আছে।
এক সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য নিয়ে দুদিন ধরে বিভ্রান্তি চলার পর টুইটে এ কথা জানান সিরাম ইনস্টিটিউট প্রধান।
সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালার বরাত দিয়ে রোববার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আগামী দুই মাস ভারতের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবেন তারা। এরপর রপ্তানি। ওই খবরে বাংলাদেশের টিকা পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়।
সিরামের কর্ণধার পুনাওয়ালা ও ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণা এল্লার যৌথ বিবৃতি। ছবি: টুইটার
কোভিশিল্ড নামের ওই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সোমবার এই টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন শর্তসাপেক্ষে এবং জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে রোববার অনুমোদন দেয় ভারত সরকার।