করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও এর নতুন ধরন শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে কমপক্ষে সাত সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে দেশটিতে আরও দুই বার লকডাউন দেয়া হয়। কিন্তু এবারের লকডাউন আগের চেয়ে দীর্ঘ ও কঠোর হতে যাচ্ছে বলে দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।যুক্তরাজ্যে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহ ‘সবচেয়ে কঠিন’ হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেন জনসন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। সোমবার রাত থেকে অপ্রয়োজনীয় সব দোকানপাট বন্ধ।
২২ ফেব্রুয়ারির আগে লকডাউন শিথিলের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগের দিন লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন জনসন। কিন্তু চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিজের অবস্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন তিনি।
তিনি বলেন, মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জিসিএসই ও এ লেভেল পরীক্ষা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের কেয়ার হোমের বাসিন্দা ও কর্মী, সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মী, সত্তরোর্ধ্ব সব ব্যক্তি ও খুবই অসুস্থ এমন প্রায় এক কোটি ২২ লাখ সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নাগরিক মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনার প্রথম টিকা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জনসন।