বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে না অ্যাসাঞ্জকে

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৬

‘মার্কিন প্রসিকিউটররা অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের উপযুক্ত কারণ দর্শাতে পারলেও, তার আত্মহত্যা ঠেকানোর ক্ষমতা নেই তাদের। অ্যাসাঞ্জের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ হবে নিপীড়নমূলক।’

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। লন্ডনের একটি আদালত সোমবার জানায়, অ্যাসাঞ্জের মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি বিবেচনায় এই রায় দেয়া হয়েছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালে এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার হলে, ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর।

জামিনের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে ব্রিটিশ আদালতে দোষী প্রমাণিত হন তিনি। পাঠানো হয় বেলমার্শ কারাগারে। এই সময়ে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ এনে অ্যাসাঞ্জের বিচার করতে আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে শুনানি শুরু হয় ব্রিটিশ আদালতে। করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বর থেকে শুনানি আবার শুরু হয়। সোমবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত।

ডিস্ট্রিক্ট জাজ ভ্যানেসা বারাইতজার রায়ে জানান, মার্কিন প্রসিকিউটররা অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের উপযুক্ত কারণ দর্শাতে পারলেও, তার আত্মহত্যা ঠেকানোর ক্ষমতা নেই তাদের। অ্যাসাঞ্জের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ হবে নিপীড়নমূলক।

আগামি ১৪ দিনের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাবে যুক্তরাষ্ট্র।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন।

ওই সব নথির মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধ সম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরো ৪০ হাজার নথি ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ফাঁস করা তথ্যে তাদের দেশের আইন ও জীবন হুমকিতে পড়েছে। তবে অ্যাসাঞ্জের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ বিভাগের আরো খবর