করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে এ সংক্রান্ত মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে ভারতে।
টিকা দেয়ার সব ধাপ যাচাইয়ের লক্ষ্যে শনিবার এ মহড়া শুরু হচ্ছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভারতের সব রাজ্যের রাজধানী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহড়ার মধ্য দিয়ে টিকা সরবরাহ, সংরক্ষণ, কোল্ড চেইন ম্যানেজমেন্টসহ আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়গুলোর জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনকে প্রস্তুত করা হবে।
এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও গুজরাট রাজ্যের আটটি জেলায় করোনা টিকাদানের মহড়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভি জানায়, দেশের ১১৬টি জেলার ২৫৯ জায়গায় টিকার মহড়া চলবে। এ জন্য ৯৬ হাজার টিকাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
টিকা দেয়ার পদ্ধতি বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য ত্রুটি যাচাইয়ে মহড়ায় প্রতিটি জায়গায় ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ডামি টিকা দেয়া হবে।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, মহড়ার যথাযথ সমন্বয় পারস্পরিক বোঝাপড়ায় সহায়তা করবে। এতে নির্ভুলভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি এগিয়ে নেয়া যাবে।
এদিকে করোনা টিকার দাম কত হবে ও পরিশোধ কে করবে এমন প্রশ্নের জবাবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের (এআইআইএমএস) পরিচালক ড. রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘করোনার টিকার খরচ এখন সরকার বহন করছে। এই টিকার বিষয়টিও অন্য টিকাদান কর্মসূচির মতোই হবে। আমার মনে হয় না, এতে কোনো অর্থ লাগবে।’
ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) অনুমোদন দিলেই যেকোনো মুহূর্তে দেশটিতে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া উদ্ভাবিত ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।