ভোটের মুখে গরু আর কয়লা পাচারের তদন্তকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। ইতোমধ্যে পাচারকাণ্ডে এক বিএসএফ কর্মকর্তা জেলে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের নজরদারিতে রয়েছেন অনেক প্রভাবশালী নেতা।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) বলছে, গরু ও কয়লা পাচারের হোতাকে খুঁজে পেয়েছে তারা। কিন্তু এখনই সেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।
বিজেপির অবশ্য আকার-ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইছে সেই প্রভাবশালী আসলে ‘ভাইপো’। ভাইপো মানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
কিন্তু তার নাম মুখে আনছেন না বিজেপি নেতারা। তাই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি বিজেপি নেতাদের ‘কাপুরুষ’ বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন। হুমকি দিয়েছেন, নাম নিলেই মামলা করা হবে।
এদিকে তদন্তের জাল গুটাচ্ছে সিবিআই। ইতোমধ্যেই বিএসএফের কমান্ডিং অফিসার সুশীল কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। এনামুল হক নামে আরেক অভিযুক্তও তাদের হেফাজতে।
গরু পাচারে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার
বিনয় মিশ্র, অজিত সিং, নীরজ সিং, গণেশ বাগাড়িয়া, অনুপ মাজি ওরফে লালাসহ একাধিক ব্যক্তি এখন সিবিআই তদন্তের মুখে। বছরের প্রথম দিনেই গরু ও কয়লা পাচারকারীদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই।
তদন্তের স্বার্থে গোপনীয়তা বজায় রাখছে সিবিআই। তবে তারা যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তা এ দিনের সক্রিয়তা থেকেই স্পষ্ট। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী ও চেতলা এবং উত্তর কলকাতার লেকটাউনে অভিযান চালান তদন্তকারীরা।
ভোটের আগে সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তায় অনেকটাই আতঙ্কে তৃণমূল। তবে দলটির দাবি এর পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। তদন্তের নামে নেতাদের হেনস্থা করারও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন বিজেপির শাখা সংগঠন হিসাবে কাজ করছে।
অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের পাল্টা দাবি, ‘গরু পাচার ও কয়লা পাচারের হোতারা এবার ধরা পড়বেই। তাই ভয় পেয়েছে তৃণমূল।’