পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যুক্ত হলো নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক-থ্রি’ নামের ১৪টি যুদ্ধবিমান।
দেশটির অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) বুধবার বিমানগুলো পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে হস্তান্তর করে। এদিন ১৪ ডুয়েল সিট জেএফ এয়ারক্রাফটও হস্তান্তর করা হয়।
এসব যুদ্ধবিমান হস্তান্তর উপলক্ষে ছোট পরিসরের একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী।
সম্প্রতি ভারত ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান রাফায়েল আনার ঘোষণা দেয়ার পর নিজস্ব প্রযুক্তির চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণ সম্পন্নের ঘোষণা দিল পাকিস্তান।
এতে প্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছে চীন। যৌথ প্রচেষ্টায় অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান নির্মাণ করায় নামকরণও সেভাবেই করা হয়েছে; জয়েন্ট ফাইটার্স (জেএফ)-১৭।
পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে বলা হয়েছে, ডুয়েল সিটের জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক ৩ যুদ্ধবিমানটি নতুন রাডার সিস্টেমে পরিচালিত হবে। এই যুদ্ধ বিমানের সক্ষমতা হবে ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান থেকে বেশি।
আর পাকিস্তান ও চীনের যৌথ কারিগরি সহায়তায় নির্মিত ১৪ ডুয়েল সিট যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করা হবে সেনাদের ট্রেনিংয়ের জন্য।
যুদ্ধবিমান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত নঙ রঙ বলেন, ‘পাকিস্তান এয়ার ফোর্স ব্লক ৩ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প ছিল। প্রতিরক্ষা বিষয়ক উৎপাদনে পারস্পরিক এই সহযোগিতা আমাদের বন্ধুত্বের একটি দৃষ্টান্ত।
‘জেএফ-১৭ থান্ডার উন্নয়নে পাকিস্তান স্বাবলম্বী হয়েছে। তারা এখন বিশ্বে উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী দেশ। জেএফ-১৭ থান্ডার হবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ড।’
বিমানবাহিনীতে ডুয়েল সিট জেএফ ১৭ থান্ডার ব্লক ৩ ফাইটার যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান মার্শাল মুজাহিদ আনোয়ার খান। এই মাইলফলক অর্জনে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করায় চীনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্বল্প প্রতিরক্ষা বাজেট সত্ত্বেও পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স ২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে দেশটির বিমানবাহিনীতে ১০০টির বেশি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি জেএফ-১৭ ব্লক ওয়ান ও ব্লক টু যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। নিজস্ব প্রযুক্তির এসব বিমান ব্যবহার করে গত বছর ভারতের উচ্চ প্রযুক্তির দুটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান।