সিরিয়ার একটি বাসে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের গুপ্ত হামলায় ৩৭ জন সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলের সেনাশাসিত প্রদেশ দেইর এজরেতে বুধবার এ হামলা ঘটে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
সংগঠনটি বলছে, গত বছর দেশটিতে আইএস ‘খেলাফতের’ পতনের পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
হামলার শিকার সেনা সদস্যরা ছুটি কাটাতে বাড়ি যাচ্ছিল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রীত সংবাদ সংস্থা সানা লিখেছে, একটি বাসে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হয়েছে। এতে ২৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
সিরিয়া ও ইরাকের বড় একটা অংশ এবং দেশ দুটির সীমান্ত এলাকা নিয়ে ২০১৪ সালে খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিল আইএস। কিন্তু তাদের এই অবস্থান বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাপক সামরিক অভিযানে দেশ দুটিতে পরাজয় হয় আইএসের।
সিরিয়ায় গত বছর জঙ্গি সংগঠনটির পরাজয় হলেও থেকে থেকে গুপ্ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার বেশির ভাগই ঘটছে মরুভূমি অধ্যুষিত হোমস থেকে দেইর এজের প্রদেশ জুড়ে এবং ইরাক সীমান্তে।
বুধবারের হামলা প্রসঙ্গে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান এএফপিকে বলেন, ‘আইএসের স্বঘোষিত খেলাফত পতনের পর এটা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।’
আবদেল রহমান জানান, দেইর এজরে প্রদেশের শুলা গ্রামে আইএস জঙ্গিদের হামলার কবলে পড়ে সেনাবাহিনীর চতুর্থ ডিভিশনের সদস্যদের বহনকারী বাসটি। রাস্তায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর গুলি চালায় আইএস যোদ্ধারা।
নিহত ৩৭ সেনার মধ্যে আট জন অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া আহত আহত ১২ জনের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। অল্পের জন্য এই হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে সেনাদের বহনকারী আরও দুটি বাস।
এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ।
২০১৭ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি আইএসের বিপক্ষে চূড়ান্ত বিজয় ঘোষণা করেন। জঙ্গি সংগঠনটি ২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়ায় খেলাফত হারায়।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে আইএসের উদ্ভব ঘটার পর দেশটিতে তিন লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সরকার সমর্থিত বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। রয়েছে বিদেশি নাগরিকও।