ভারতে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারসহ চার শর্তে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় যেতে রাজি আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ।
দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে শনিবার তিনটার দিকে কৃষক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় করেন কৃষকেরা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের যৌথ মঞ্চের নেতা রাকেশ টিকায়েত ও যোগেন্দ্র যাদব জানান, ‘কেন্দ্র সরকারকে শর্তসাপেক্ষে ২৯ ডিসেম্বর লিখিতভাবে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হবে।’
শর্তগুলো হল:
- নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার
- ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতি
- দিল্লি সংলগ্ন রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে দূষণরোধ সম্পর্কিত অর্ডিন্যান্স থেকে কৃষকদের বাদ দেয়া
- বিদ্যুৎ বিল-২০২০ বাতিল করা
এর আগে, শুক্রবার দিল্লিতে চলা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা মিথ্যা ছড়াচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ভুল বোঝানো হচ্ছে কৃষকদের।’
এদিন কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন,‘দু-এক বছরের জন্য কৃষি আইনকে কার্যকর করতে দিয়ে দেখুন। যদি এই আইন কৃষকের স্বার্থবিরোধী প্রমাণ হয়, তবে সেটি নিয়ে আলোচনা করবে কেন্দ্র।’
অবশ্য এসব কথায় চিড়ে ভিজছে না। আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অবস্থানে অনড় থাকার অঙ্গীকার করেছে কৃষকেরা। এমনকি আইনে কোনো সংশোধনও মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তারা।
অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধন, কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন এবং কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি সংক্রান্ত বিল তিনটি সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাস হয়।
দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ উপেক্ষা করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সই করলে আইনে পরিণত হয় বিলটি।