বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাশ্মীরে হার হজম হচ্ছে না বিজেপির

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:০২

‘ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘জোটের জয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি, কাশ্মীরিরা তা মেনে নেয়নি।’

কাশ্মীরে স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর অঞ্চলটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। আতঙ্কে দিন পাড় করছেন স্থানীয়রা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা দেখিয়ে ৭৫ রাজনৈতিক নেতা ও সমাজকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

গত সপ্তাহে জেলা উন্নয়ন কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর, অঞ্চলটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম কোনো স্থানীয় নির্বাচন ছিল এটি।

স্থানীয় এক পুলিশ সদস্যের বরাতে রয়টার্স বলছে, আটককৃতদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ দল জামায়াত-ই-ইসলামীর নেতা ও সদস্য আছেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘জোটের জয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি, কাশ্মীরিরা তা মেনে নেয়নি।’

জয়ী জোটের অন্যতম শরিক ও কাশ্মীরের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল- ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র ইমরান নবী দাবি করেছেন, এই আটকের মাধ্যমে জনগণের রায়কে উপেক্ষা করছে মোদি সরকার।

ভারতপন্থি কিন্তু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনে বিশ্বাসী জোট- পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন নির্বাচনে ২৮০টি আসনের মধ্যে ১১২টিতে জয় পেয়েছে।

দীর্ঘদিন আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গত অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি স্বায়ত্ত্বশাসন পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দেয়।

আট ধাপে হওয়া স্থানীয় এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ২৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৭৪ আসনে জয় পায়।

অন্যদিকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর সেখানখার অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা-কর্মীকে আটক করে ভারত সরকার। সে সময় যারা আটক হয়েছিলেন তাদের অনেকেই স্থানীয় নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাকিস্তান সহযোগিতা করছে, ভারতের এমন অভিযোগ পুরনো।

ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশ গঠনের পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে দেশ দুটির বিরোধ লেগে আছে।

এই অঞ্চলে চলা দীর্ঘদিনের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন বেসামরিক নাগরিকসহ সশস্ত্র যোদ্ধা ও সরকারি বাহিনীর কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর