প্রেমিকাকে হত্যার পর শরীর বিচ্ছিন্ন করার দায়ে অলেগ সকলভ নামের রুশ এক অধ্যাপককে সাড়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি আদালত।
স্থানীয় সময় শুক্রবার হত্যা ও বেআইনিভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে বিচারক ইয়ুলিয়া ম্যাক্সিমেনকো এ রায় দেন বলে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৬৩ বছর বয়সী নেপোলিয়ন গবেষক সকলভ আদালতে দায় স্বীকার করে বলেন, গত বছরের নভেম্বরে প্রেমিকা অ্যানাস্তাসিয়া ইয়েশচেনকোকে (২৪) তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মুহূর্তের উত্তেজনায় চার বার গুলি করেন তিনি। পরে করাত ও ছুরি দিয়ে তার দেহ টুকরা টুকরা করা হয়।
পরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে মইকা নদীর ধারে মাতাল অবস্থায় সকলভকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তার ব্যাগে ইয়েশচেনকোর ছিন্নভিন্ন হাত পাওয়া যায়। পরে নিহতের শরীরের বাকি অংশ নদী ও সকলভের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রায়ের সময় নিহত ইয়েশচেনকোর পরিবার আদালতে উপস্থিত ছিল। তাদের আইনজীবী আলেজান্দ্রা বাকশেয়েভা বলেন, আরও কঠোর শাস্তির জন্য তার পরিবার আপিল করবে না।
২০০৩ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সামরিক ও বেসামরিক সম্মাননা ‘লিজিয়ন অফ অনার’ পান সকলভ।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন সকলভ।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেন্ট পিটার্সবার্গ ইউনিভার্সিটির সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এক অনলাইন আবেদনে সই করেন। এতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগগুলো আমলে না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেন তারা।
সকলভকে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।