প্রকাশ্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ শুক্রবার জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স তার প্রথম ডোজটি নিয়েছেন।
টিকা নিয়ে আগ্রহ এবং নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্য টিকা নিশ্চিতে তৎপরতায় প্রিন্স সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।
ক্রাউন প্রিন্স কোথায়, কোন ধরনের টিকা নিয়েছেন তা জানানো হয়নি।
আরব নিউজের প্রকাশিত ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাঁ বাহুতে টিকা নিয়েছেন সালমান। এ সময় তাকে হাসিখুশি দেখাচ্ছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও বায়ো-এনটেকের যৌথ চেষ্টায় উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রথম চালান পায় সৌদি আরব।
দেশটিতে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয় টিকাদান। ওই দিন টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ।
- আরও পড়ুন: লাইভে করোনার টিকা নিলেন বাইডেন
সৌদি যুবরাজের আগে বিশ্বের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রকাশ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এ ছাড়া প্রকাশ্যে টিকা নেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ। তারা সবাই নিয়েছেন ফাইজারের টিকা।
করোনার টিকা নিয়ে অনেকের মধ্যে অবিশ্বাস ও অনাস্থা দেখা যাচ্ছে। টিকার প্রতি নাগরিকদের আস্থা বাড়াতেই বিশ্ব নেতাদের এ উদ্যোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশের জনগণের বড় একটা অংশ টিকা গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। টিকার প্রতি আস্থাও নেই অনেকের।
- আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পড়ে আছে টিকার লাখ লাখ ডোজ
পিউ রিসার্স সেন্টার এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ করোনার টিকা নিতে অনিচ্ছুক। দেশটির মাত্র ৬০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নিতে প্রস্তুত বা রাজি। এর আগে সেপ্টেম্বরে জরিপে দেখা গিয়েছিল টিকা নিতে রাজি ৫১ শতাংশ মানুষ।
করোনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগছে সৌদি আরব। দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখ ৬১ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ছয় হাজার ১০০।
করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দ্রুতই টিকা কর্মসূচি চালু করল সৌদি আরব। টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে পার্শ্ববর্তী কুয়েত ও কাতারেও।