যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ডেনিয়েল পার্লকে শিরশ্ছেদের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত পাকিস্তানি নাগরিককে মু্ক্তির নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের একটি প্রাদেশিক আদালত।
বৃহস্পতিবার সিন্ধ হাইকোর্ট আসামি আহমেদ ওমর সাঈদ শেখকে মুক্তির নির্দেশ দেয় বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেড় যুগ আগে বিশ্বে তুমুল আলোচিত এই ঘটনায় দণ্ডিতের মুক্তির আদেশ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০২ সালে পাকিস্তানের জঙ্গিদের নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজ করছিলেন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ৩৮ বছর বয়সী সাংবাদিক পার্ল। ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে তাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সাঈদ শেখ। ওই দিনই পার্লকে অপহরণ করা হয়। পরে তার শিরশ্ছেদের ভিডিও যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটে পাঠানো হয়।
পার্ল হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও আরও তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
১৮ বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে আসামিদের খালাসের আদেশ দেয় সিন্ধ হাইকোর্ট। এ আদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, পার্লের পরিবার ও জার্নালিজম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ বিস্মিত হয়।
পাকিস্তান সরকার ও পার্লের পরিবার আলাদাভাবে খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে সে সময় আপিল করে।
বৃহস্পতিবার নিহতের আইনজীবী ফয়সাল সিদ্দিকি বলেন, ‘শেখের আটকাদেশ আদালত বাতিল করেছে। আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু খালাসের নির্দেশ বাতিলে আমরা সফল হলে তাকে আবার কারাগারে ফিরতে হবে।’
এদিকে রায়টি পছন্দ হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটবার্তায় বলেছে, ‘ডেনিয়েল পার্ল হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীকে মুক্তি দিতে সিন্ধ হাইকোর্টের নির্দেশের খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, দণ্ডিতকে এ সময় মুক্তি দেয়া হবে না।’
আদালতের আদেশে বলা হয়, শেখকে আটকাদেশের প্রাদেশিক সরকারের সিদ্ধান্ত অবৈধ। পার্ল হত্যায় শেখ এবং আরও তিন দণ্ডিতকে কারাগারে রাখার কোনো কারণ প্রাদেশিক বা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই।