বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষক আন্দোলন: রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি কংগ্রেসের

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:১০

বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রাপতির কাছে গিয়েছিলেন আন্দোলনরত কৃষকদের কথা বলতে। এই দলে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, গুলাম নবী আজাদসহ অন্য নেতারা। পুলিশ আটকে দেয় সবাইকে। পরে তিনজনকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। এর পর পথেই বসে পড়েন প্রিয়াঙ্কারা। রাহুলসহ তিনজন চলে যান রাষ্ট্রপতিভবনে।

দেশে গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই, এ মন্তব্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁর আক্রমণের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কেউ নন।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন রাহুল। পরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কতগুলো পুঁজিপতি বন্ধুদের টাকা কামানোর উপায় করে দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে-ই কথা বলবে, সে কৃষক হোক বা শ্রমিক, তাঁদের জঙ্গি বলে দাগিয়ে দেয়া হবে। এমনকি, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও যদি মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁকেও জঙ্গির তকমা দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রাপতির কাছে গিয়েছিলেন আন্দোলনরত কৃষকদের কথা বলতে। এই দলে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, গুলাম নবী আজাদসহ অন্য নেতারা।

পুলিশ আটকে দেয় সবাইকে। পরে তিনজনকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। এর পর পথেই বসে পড়েন প্রিয়াঙ্কারা। রাহুলসহ তিনজন চলে যান রাষ্ট্রপতিভবনে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাস্তায় বসেই বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সন্ত্রাসযোগ খোঁজা হচ্ছে। কৃষকদের সমর্থনের জন্যই এই পদযাত্রা করছি।’

পুলিশ কংগ্রেস নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক অবস্থায় ডিটিসি বাস থেকেই ফের কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন প্রিয়াঙ্কা। বললেন, ‘কখনও ওরা বলে আমরা এতটাই দুর্বল, যে বিরোধী হওয়ার যোগ্যতা নেই, কখনও আবার বলে, আমরা লক্ষ কৃষককে দিল্লি সীমান্তে জড়ো করেছি। ওরা আগে সিদ্ধান্ত নিক, যে আসলে আমরা কী।’

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কবিন্দের সঙ্গে দেখা করার পর রাহুল অপেক্ষারত সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত যে কৃষকরা প্রতিবাদস্থল ছাড়বেন না।’

অন্যদিকে, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) দপ্তরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। আপ নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তের সিংঘুতে অবস্থানরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে কৃষি বিলও ছিঁড়ে ফেলতে দেখা গেছে তাঁকে।

‘বার্তা’ দিতে এবার আপ বিধায়ক রাঘব চাড্ডার কার্যালয়ে হামলা চালালেন ‘না–খুশ’ বিজেপির নেতা–কর্মীরা।

দিল্লি জলবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাঘব চাড্ডা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে জল বোর্ডের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতা–কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে স্লোগানও তোলা হয়। তারপরই চলে হামলা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি অদেশ গুপ্ত। এমনকি বিজেপি কর্মীরা হুমকি দিয়ে বলে গেছেন, ‘কৃষক আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে বলুন কেজরিওয়ালকে।’’

খবর পেয়েই টুইটারে মুখ খোলেন কেজরি। লেখেন, ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াব। যারা কাপুরুষের মতো হামলা চালায়, তাঁদের ভয় পাই না। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, বিজেপির হামলায় প্ররোচিত হবেন না। কৃষকদের সব রকমের সহায়তা করুন। সমর্থন দিন।’

এখানেই শেষ নয়। নানাভাবে কৃষক আন্দোলনের সমর্থকদের হেনস্থা করার ঘটনা ঘটছে। দুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িবহর যখন আম্বালা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কালো পতাকা দেখান কয়েকজন কৃষক। সরকারবিরোধী স্লোগান তোলেন। কয়েক জায়গায় রাস্তাও অবরোধ করেন। মঙ্গলবারের ঘটনা।

এবার এই ঘটনায় ১৩ জন কৃষকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারকে খুনের চেষ্টার মামলা করল হরিয়ানা পুলিশ। মঙ্গলবার আম্বালায় পুরভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। অগ্রসেন চকে তাঁর গাড়িবহর লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান কৃষকরা।

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক জন কৃষক লাঠি উঁচিয়ে হামলার চেষ্টা করেছেন। কিছু জায়গায় গাড়ি বহরের পথ অবরোধের চেষ্টা করেন কৃষকরা। তার জেরে চার্জ (মামলা) আনল পুলিশ।

হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রধান কুমারী শৈলজা বলেছেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করে সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। গণতন্ত্রে সবার কথা বলার অধিকার আছে। সেই অধিকার কেড়ে নিলে তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হন। তার দাবি, সরকারের এখনই মামলা তুলে নেয়া উচিত।

এ বিভাগের আরো খবর