যিশু খ্রিষ্ট থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছেন সবাই।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বাড়তি উৎসাহ দেখাচ্ছে বাঙালি মনীষীদের সম্মান জানাতে। পিছিয়ে নেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিতই বাংলায় টুইট করছেন। তবে সমালোচকরা মনে করছেন, ভোটই হচ্ছে এসবের প্রধান কারণ।
সোমবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে, স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী সাড়ম্বরে পালিত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে কমিটিও।
এর আগে ভোটের প্রচারে এসে অমিত শাহ বাংলার গুণী মানুষ রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের শ্রদ্ধা জানান।
পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মনীষীদের পাশাপাশি তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে। পাশাপাশি চলছে রাজনৈতিক বিবৃতিযুদ্ধও।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে বড়দিন উৎসবের সূচনা করেন। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
মমতা জানান, ২০১১ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই এ উৎসব চালু হয় রাজ্যে।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর ভারতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে। কারণ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন।’
বিজেপির কটাক্ষ, ভোট বলেই এখন বড়দিনে ছুটির দাবি তুলছেন মমতা।
অমিত শাহকে একহাত নিয়ে সোমবার মমতা বলেন, ‘রাজ্য অনেক কিছুতেই এক নম্বরে রয়েছে। কেন এত মিথ্যা বলছেন মানুষকে? সত্যি কথা বলুন।’
একই সঙ্গে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগও তুলছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ হিংসা করে। তারা দেশে একতা রাখতে পারে না। তারা শুধু দেশ-আইন ভাগ করতে জানে।’
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপিও। দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে শব্দবন্ধ দিয়ে যে ভাষায় আক্রমণ করছেন, তার থেকে সমাজ তা আশা করে না।’