কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার ৩৬ সাংবাদিককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে তাদের ওপর এই নজরদারি চালাচ্ছেন একদল হ্যাকার।
সাইবার সিকিউরিটি ওয়াচ ডগ বলছে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এই ঘটনায় জড়িত। এ জন্য চলতি বছরের শুরু থেকেই ইসরায়েলের তৈরি বিশেষ যন্ত্র কেনে রিয়াদ ও আবুধাবি। যন্ত্রটি যে কারও মোবাইল ফোন হ্যাক করে তার সব তথ্য সংগ্রহ করতে পারে অনায়াসে।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর সিটিজেন ল্যাবসের গবেষকরা রোববার যন্ত্রটি কীভাবে কাজ করে তার বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন ইসরায়েলের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (এনএসও) প্যাগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার আবিষ্কার করেছে। স্পাইওয়্যারটির সাহায্যে আল জাজিরার প্রযোজক, উপস্থাপক, নির্বাহীসহ ৩৬ সাংবাদিকের তথ্য তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক তামির আইল মিশাইল বলেন, ‘কয়েকমাস আগে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি পাই। ফোনটি আরব আমিরাত থেকে এসেছিল। বলা হয়েছে, সাংবাদিক জামাল খাশোগির মতো পরিণতি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে।’
ফোন রেকর্ডের জেরে ছয় মাসের অনুসন্ধানে সিটিজেন ল্যাবসের গবেষকরা জানতে পারেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে স্পাইওয়্যারটি পরিচালিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে সৌদি আরব, বাহারাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কাতারের সঙ্গে। এ সংকট সমাধানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনা চালছে।