বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আর এক মাস পর ট্রাম্পের বিদায়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৫৩

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নিলে হোয়াইট হাউসকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতে হবে ডনাল্ড ট্রাম্পকে। এই একটি মাস তিনি হোয়াইট হাউসেই থাকছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ত্যাগের আর এক মাস বাকি। আগামী ২০ জানুয়ারি তাকে পাততাড়ি গোটাতে হবে।

এদিন দেশটির কংগ্রেস ভবনে অভিষেক ঘটবে ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসন।

ওই অভিষেক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প উপস্থিত থাকবেন কি না সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

হাতে আর একটি মাস থাকলেও এখনও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ থেকে সরে আসেননি ট্রাম্প। নিজের টুইট বার্তায় তিনি যথারীতি অভিযোগ করে যাচ্ছেন।

৩ নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৫৩৮টি ইলেকটরাল কলেজ ভোটের মধ্যে বাইডেন পান ৩০৬টি। অন্যদিকে, ট্রাম্প পান ২৩২ ভোট।

৭ নভেম্বর বাইডেনের জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। অনেকগুলো মামলাও করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক টুইট করে তিনি নিজেকে জয়ী ঘোষণা করে আসছিলেন।

তবে ১২ নভেম্বর দেশটির ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির (সিআইএসএ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তা এক বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কারচুপির অভিযোগে জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসি এই চার অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মামলা করেছিল ট্রাম্পের প্রচার শিবির।

১১ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ চারটি অঙ্গরাজ্যের ভোট বাতিল চেয়ে টেক্সাস গভর্নরের করা মামলা খারিজ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট।

নির্বাচনে হারলে ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়বেন কি না সেটি নিয়ে প্রথম থেকেই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

জো বাইডেনের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর অনেকটাই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান মনোযোগ-প্রত্যাশী ট্রাম্প। তাকে জনসমক্ষে খুব বেশি দেখা যায়নি।

১১ নভেম্বর ভেটারেনস ডের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসেন ট্রাম্প। এদিন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন সামরিক কবরস্থানে যান তিনি।

জর্জিয়ায় আনুষ্ঠানিক পরাজয়ের পরেও ৫ ডিসেম্বর অঙ্গরাজ্যটিতে বিজয় সমাবেশ করেন ট্রাম্প। নির্বাচনের পর এটি ছিল তার প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেখানেও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নিজেকে জয়ী দাবি করেন।

অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন ক্ষমতা হস্তান্তর না করতে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে তিনি এমন কিছু করে বসতে পারেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্টের জন্য যা জটিল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ নভেম্বর হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠক ডেকেছিলেন ট্রাম্প। উদ্দেশ্য ইরানে হামলার সম্ভাবনা যাচাই করে দেখা। তবে ট্রাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে তাকে সতর্ক করে দেন।

ক্ষমতা ধরে রাখতে জরুরি পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালালেও তাতে খুব একটা লাভ হবে না ট্রাম্পের।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী অন্য কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানোর মতো বড় সিদ্ধান্ত কোনো প্রেসিডেন্ট একা নিতে পারবেন না। এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। যদিও রিপাবলিকানরা এখনও সিনেটে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে।

১৩ নভেম্বর সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পেন্টাগনের শীর্ষ পদের চারজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এই পদগুলোতে তার নিজের ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর