টিকার অপেক্ষায় থাকা মানুষ নানা প্রাচীন ও অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চালাচ্ছে করোনার চিকিৎসা।
ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের চিকিৎসকেরা ভেষজ ওষুধে করছেন করোনার চিকিৎসা। কমিউনিস্ট কিউবাতে একই পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বেশ।
প্রতিবেশি ভারতে গোমূত্র পানের মাধ্যমে করোনার চিকিৎসার একটি আওয়াজ উঠেছিল।
সবশেষ ইরাকের নাজাফ শহরের ছোট্ট একটি ঘরে চলছে অভিনব পদ্ধতিতে করোনা চিকিৎসা। সেখানে করোনার শুশ্রূষায় যে অদ্ভুত পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেটার স্থানীয় নাম হিজামা। বর্তমানে এই পদ্ধতি ‘কাপিং’ নামে পরিচিত।
নাজাফের এই চিকিৎসা কেন্দ্রে আসা রোগীদের পিঠে হাতে ও কপালে কাচের খালি কাপ উল্টো করে বসিয়ে দেয়া হয়। কাপে জোরো চাপ দিলে বায়ুরোধী হয়ে সেটি রক্ত জমাট বাঁধিয়ে ফেলে।
চিকিৎসক হুসাইন আল মালেকি বলেন, ‘এইভাবে কিছু সময় রক্ত জমাট বাঁধা থাকলে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর কাপগুলো তুলে নিলে, আগের অবস্থায় ফিরে যায় রক্ত। এতে রক্তের কার্যকারিতা বাড়ে।'
চিকিৎসা নেয়া একজন ব্যক্তি জানান, দুই দফায় এই থেরাপি নেয়ার পর তার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়েছে। পুরোনো পায়ের ব্যাথা থেকেও মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
তবে এই থেরাপিতে করোনা থেকে মুক্তির কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
কাপিং থেরাপি আজ থেকে সাড়ে ছয় হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হতো। মিশর ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও এই পদ্ধতির চিকিৎসা চালু আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে হিজামা বা কাপিং পদ্ধতি।