হিন্দি আর ইংরেজি নিয়মিতই বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে এসে বা তার দেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের আলোচনায় বা পশ্চিমবঙ্গে এসে ভাঙা বাংলায় কথাও বলেছেন টুকটাক। এবার তার টুইটার অ্যাকাউন্টে কমেন্ট লেখা হলো বাংলায়।
মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর উদযাপনে আগামী বছর মোদিকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সোয়া এক ঘণ্টা কথা বলেন ভারতীয় সরকার প্রধান। এ সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা এই আমন্ত্রণ জানান। সেখানেই মোদি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন।
মোদি টুইট করেছেন হিন্দিতে। তবে এর কমেন্টে বাংলাদেশে আসার আগ্রহের কথা লেখেন বাংলায়।
মোদি লেখেন, ‘পরের বছর, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে মুজিববর্ষ এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর উদযাপন করবে। আমি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সফরের প্রত্যাশায় রয়েছি।’
ভিডিও কনফারেন্সে মোদি বলেন, তার দেশ প্রতিবেশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশকে।
ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের পর দিন এই কনফারেন্সে স্বভাবতই মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে ভারতের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ, এক কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার এবং যুদ্ধের শেষ দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মোদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি জানান, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুই দেশ একত্র হয়ে অনুষ্ঠান করবে।
মোদি বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল আমি ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছি এবং বিজয় মশালে অগ্নি প্রজ্বালন করেছি। এই মশালগুলো সারা ভারতেই ছড়িয়ে দেয়া হবে।
‘এগুলো সেই সব গ্রামে নেয়া হবে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহিদরা জন্ম নিয়েছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শুরু করেছি। এ সময় সারা ভারতে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।’