পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতির ফায়দা নিতে বিজেপির সাবেক সভাপতি, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার আসছেন পশ্চিমবঙ্গ সফরে। ফলে আরও চাপে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যে এসেছেন ভোটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
বৃহস্পতিবার তিনি দিনভর জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসতে পারে। ভোটের যাবতীয় খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে আজই তাই পাঁচ দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন জৈন।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাডু, কেরালা ও পুদুচেরিতে এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভার ভোট। তবে সবার চোখ এবার পশ্চিমবঙ্গের দিকেই বেশি। এখানে টানা ১০ বছরের তৃণমূলের শাসনকে উৎখাত করতে মরিয়া বিজেপি।
এমনিতেই দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে অনেকটাই বেকায়দায় তৃণমূল। বিভিন্ন জায়গায় দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। আরও অনেকে দল ছাড়তে চলেছেন বলে খবর রয়েছে।
ইতোমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভা ও বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দলের প্রথম সারির নেতা শুভেন্দু অধিকারি। আজ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি চেয়ে দলনেত্রী মমতাকে চিঠি দেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারি সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, এমনই জল্পনা চারিদিকে। তিনি নিজে অবশ্য কিছু বলেননি এখনও।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, 'শুভেন্দুবাবু দলে এলে উনি স্বাগত। আর কখন বিজেপিতে ওনার যোগ দেয়া উচিত সেটা উনি ভালোই জানেন।'
শনিবার শুভেন্দুর খাসতালুক মেদিনীপুরে বিজেপি নেতা অমিত শাহের জনসভা। প্রথমে কর্মীসভার কথা থাকলেও পরে সেটি জনসভায় পরিবর্তন করেন বিজেপি নেতারা।
তাই জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। অমিত শাহের সভাতেই যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারি।
শুভেন্দু দল ছাড়লেও হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূলের প্রধান মমতা ব্যানার্জি। এদিন তিনি বিজেপি নেতাদের সতর্ক করে বলেন, ‘আধিপত্যবাদী, অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে মাথা নোয়াবে না বাংলা।’