পাকিস্তানে ধর্ষণকারীদের শাস্তি নিশ্চিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে খোজাকরণ ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদশ অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি।
ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে মঙ্গলবার ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশের অনুমোদন দেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাদেশ অনুযায়ী যৌন নির্যাতন মামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার শেষ করতে দেশজুড়ে বিশেষ আদালত স্থাপন করা হবে। চার মাসের মধ্যে ওই আদালতকে বিচার শেষ করতে হবে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ধর্ষণবিরোধী ক্রাইসিস সেল গঠন করা হবে। ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল পরীক্ষার দায়িত্বে থাকবে এ সেল।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ডাটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটির (নাড্রা) সহযোগিতায় দেশজুড়ে যৌন হয়রানিকারীদের নিবন্ধন হবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা তদন্তকাজে গাফিলতি করলে তাদের জরিমানাসহ তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। ভুল তথ্য দিলেও তাদের শাস্তির অওতায় আনা হবে।
এর আগে ২৪ নভেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণবিরোধী (তদন্ত ও বিচার) অধ্যাদেশ-২০২০ ও পাকিস্তান দণ্ডবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০ এর অনুমোদন দেয়া হয়।