বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন রূপে কলকাতা রেল স্টেশন

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:১৫

লকডাউনের মধ্যেই কলকাতা রেল স্টেশনে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। যাত্রীদের জন্য লিফট ও চলমান সিঁড়ি আগেই ছিল।এখন গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ওয়েটিং লাউঞ্জ।

নতুন রূপে সেজে উঠেছে কলকাতা রেল স্টেশন। রেল স্টেশনে বিমানবন্দরের মতো স্বাচ্ছন্দ্যের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। করোনা মহামারির অবসান হলেই যাত্রীরা রেলস্টেশনেই পাবেন বিমানবন্দরের স্বাদ।

কলকাতা রেল স্টেশন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একমাত্র আন্তর্জাতিক স্টেশন। আন্তর্জাতিক স্টেশন হলেও এখানে এতদিন ছিল না কোনো ভালো ওয়েটিং রুম। কোনো যাত্রীকে যদি ট্রেনের জন্য কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো তা হলে তার দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকত না। এ নিয়ে যাত্রীরা নানা সময়ে অভিযোগ করেছে। কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি। এবার যাত্রীদের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।

লকডাউনের মধ্যেই কলকাতা রেল স্টেশনে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। যাত্রীদের জন্য লিফট ও চলমান সিঁড়ি আগেই ছিল।এখন গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ওয়েটিং লাউঞ্জ। এখানে রয়েছে আরামদায়ক চেয়ারে বসার ব্যবস্থা।

গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল বিশ্রামাগার। এতে রয়েছে যাত্রীদের ঘুমানো থেকে শুরু করে ফিশ স্পার বন্দোবস্ত।

স্টেশনের মধ্যেই রয়েছে সেলুন। গোসল করার জন্য রয়েছে আধুনিক বাথরুম। সেখানে মাত্র ৫০ রুপি দিয়ে করা যায় স্নান।টয়লেট কিটস এই মূল্যের মধ্যেই।

ওয়েটিং লাউঞ্জেই আছে বই পড়ে বা খেলাধূলা করে সময় কাটানোর বন্দোবস্ত। আছে আলাদা বেবি ফিডিং রুম। পুরুষ ও নারীর জন্য থাকছে সেলুন।রয়েছে বডি ম্যাসাজ চেয়ার।

সময় কাটানো বা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আদর্শ ঠিকানা হতে পারে এই আধুনিক ওয়েটিং লাউঞ্জ। ওয়েটিং লাউঞ্জের পোশাকি নাম 'সফর'। সেখানে বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি খাবারও খাওয়া যাবে।

খাবারের দাম যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে। প্যাকেটজাত খাবার ও পানীয় বাইরের দোকানের মতোই মুদ্রিত দামে বিক্রি হবে।

সফর-এর ইন-চার্জ নীতীশ গুপ্তা জানান, নিরামিষ থালির দাম তাঁরা ঠিক করেছেন প্রতি প্লেট ১৫০ রুপি।এ ছাড়া বিভিন্ন দামে আমিষ খাবারও পাওয়া যাবে।

কলকাতা রেল স্টেশন চত্বরে গড়ে উঠবে শপিং মলও। শহরের ব্যস্ততম রেল স্টেশন শিয়ালদহে অবশ্য ইতিমধ্যেই শপিং মল তৈরি শুরু হয়েছে।

রেলকর্তাদের আশা, কিছুদিনের মধ্যেই ফের চালু হবে কলকাতা থেকে ঢাকা-মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা থেকে খুলনার বন্ধন এক্সপ্রেস।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কলকাতা স্টেশন থেকেই বাংলাদেশে সরাসরি যাতায়াত করে বন্ধন ও মৈত্রী। সীমান্তে দাঁড়ায় না।ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকিং-ও হয় কলকাতাতেই।

সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্টেশন এলাকাতেই গড়ে উঠছে বিএসএফের বিশাল ছাউনি।

এ বিভাগের আরো খবর