ভারতের গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার শাহ মোহাম্মদ তানভির মনসুরের স্ত্রী মুনেরা আজমের 'চাকরি' করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মুনেরার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।
অসমের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়, মুনেরা আজম বিধিবহির্ভূত ভাবে ভারতের টপসেম সিমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন। অসমসহ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে বেশ জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের সিমেন্ট।
এই কোম্পানিতেই লকডাউন চলাকালে সিনিয়র ম্যানেজার, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং পদে মুনেরা চাকরি পান বলে অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়, তানভির তার প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে সিমেন্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করেছেন।
এর পরেই সমালোচনাতে যোগ দেন অসমের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ববিতা শর্মার প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশি কূটনীতিকের স্ত্রী কি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ভারতে এসেছেন? এ বিষয়ে তদন্ত করা জরুরি।’
অসমের আঞ্চলিক গণমোর্চার সাধারণ সম্পাদক মীরা বড়ঠাকুরের অভিযোগ, ‘বাংলাদেশি নাগরিক চাকরি পাওয়ায় অসমের খিলঞ্জিয়া (ভূমিপুত্র) প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।'
দুটি শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু) ও কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতিও মুনেরার চাকরির খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
তবে টপসেম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুনেরাকে তারা ‘ইন্টার্ন’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, সে মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কমকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, মুনেরা আজমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি তোলা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার অংশ হিসেবে তিনি কিছুদিন ওই সিমেন্ট কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এটি কোনোভাবেই চাকরি ছিল না।
অভিযোগ নিয়ে তানভির মনসুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০১৮ বাড়ির পরিচারিকাকে মারধরের অভিযোগে গণমাধ্যমে খবর হয়েছিলেন এই দম্পতি। তবে সে সময় অভিযোগটি তারা অস্বীকার করেন।