যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান শহরের একটি ফ্যাক্টরি থেকে রোববার ফাইজার- বায়োএনটেক-এর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম কনসাইনমেন্ট নিয়ে ট্রাক যখন বেরিয়ে আসছে, তখন ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এর প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই কোভিশিল্ডের টিকাকরণ শুরু হবে এদেশে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তৈরি হওয়া এই ভ্যাকসিন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে ভারতের মানুষ। ইতিমধ্যেই জরুরিকালীন ভিত্তিতে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে কেন্দ্রের কাছে অনুমোদন চেয়েছে সেরাম ইন্সটিউট।
ইকোনমিক টাইমস গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, ‘আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২১ এর অক্টোবরের মধ্যে ভারতের সকলে এই ভ্যাকসিন পাবেন- এমনটাই আশা করছি আমরা। এরপরই ক্রমশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে ভারত।’
আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘এই মাসের শেষেই আমরা এমারজেন্সি লাইসেন্স পেয়ে যাব। আসল লাইসেন্স পেতে আরও কিছু সময় লাগবে। ২০২১ এর জানুয়ারি থেকেই টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ভারত সরকারের নিয়ামক সংস্থার কাছে টিকার জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছে ফাইজার, সেরাম ও ভারত বায়োটেক। তাদের সমস্ত নথি পরীক্ষা করছে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি)। গত সপ্তাহেই এসইসি সেরামের কাছে ভারতে তাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
সেরাম এর প্রধান বলেছেন, ‘দেশের ২০ শতাংশ নাগরিক করোনার টিকা পেলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরবে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে সকলকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট টিকা থাকবে। তাহলেই মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।’
সেরাম ইনস্টিটিউটের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনের ৬০ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। প্রতিজনকে দুটি ডোজ নিতে হবে। অর্থাৎ ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেবার জন্য তৈরি হচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ‘১.৫৪ লক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে। দেশে ২.৩ লক্ষ এমন প্রশিক্ষিত কর্মীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে আমরা ঠিক করেছি, গণ টিকাকরণের জেরে রুটিন স্বাস্থ্য পরিষেবায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে। তাই বেছে বেছে ১.৫৪ লক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মীকে ভার দেওয়া হয়েছে।’