দেশজুড়ে অর্থনৈতিক বিক্ষোভে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে রুহল্লাহ জাম নামের এক সাংবাদিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, বার্তা সংস্থা আইআরএনএ ও বার্তা সংস্থা নুর জানায়, শনিবার সকালে জামকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জুনে ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অভিযোগে জামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের একটি আদালত।
গুপ্তচরবৃত্তি বা ইরান সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে অভিযোগ ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) পক্ষ থেকে বলা হয়, জামের বিচার ‘ব্যাপক পক্ষপাতদুষ্ট’ ছিল।
বেশ কয়েক বছর নির্বাসিত থাকার পর গত বছর জামকে গ্রেফতার করা হয়। ইরানের বিপ্লবী আদালত জামকে মৃতুদণ্ড দিলে সুপ্রিম কোর্টও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে। এর চার দিন পরই জামকে ফাঁসি দেয়া হয়।
২০১৭ সালের বিক্ষোভের পরম্পরা ও কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিব্রতকর তথ্য ছড়ায় জামের ওয়েবসাইট ও চ্যানেল, যা ইরান সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে। তার আমাদ নিউজ টেলিগ্রাম চ্যানেলে ১০ লাখেরও বেশি ফলোয়ার ছিল।
২০০৯ সালে গ্রিন মুভমেন্টের পর ২০১৭ সালের শেষের দিকের বিক্ষোভ দমানো ইরান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। গত বছরের নভেম্বরে একই ধরনের গণঅসন্তোষ দেখা দেয় দেশটিতে।
সম্পদ ধ্বংস, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কাজ করা, ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও ‘অঞ্চলটিতে একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগও জামের বিরুদ্ধে তোলা হয়।
ইরানের বিচার বিভাগের রাষ্ট্রীয় সংবাদ পোর্টাল মিজানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদ নিউজ টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানের জনগণের নিরাপত্তা ও জীবিকার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ও নীতিভ্রষ্ট কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন জাম। এ ছাড়া দেশের জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে বিদেশি শক্তির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেন তিনি।’