পারস্পরিক যোগাযোগে নতুন মাত্রায় পৌঁছাল ইরান-আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে দেশ দুটির মধ্যে।
বৃহস্পতিবার কয়েক টন কৃষি পণ্যবাহী ইরানের একটি ট্রেন পৌঁছায় আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যে।
ইরানের খাফ শহর থেকে ছেড়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ট্রেনটি এসে পৌঁছায় আফগানিস্তানের রোজানাক শহরে। এই রেলপথ আফগানিস্তানের হেরাত পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সাড়ে সাত কোটি ডলারের এক প্রকল্পের শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালে। উভয় সীমান্তেই রেলপথ নির্মাণের খরচ বহন করে ইরান।
নীল রঙের প্রথম ট্রেনটির আগমন উপলক্ষে রোজানাক স্টেশনে আফগানিস্তানের অনেক মানুষ জড়ো হয়।
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ট্রেন চালু উদ্বোধন করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য এটাকে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এই রেলপথকে ইরানের দেয়া মূল্যবান উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তার মতে, এর মধ্য দিয়ে প্রাচীন সিল্ক রোডের পুনরুজ্জীবন সহায়ক হবে।
ইউরোপে আফগানিস্তানের প্রবেশে এই রেল লাইনকে গেটওয়ে হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও লিঙ্কে যুক্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘এই রেলপথে আমি ইরান ও আফগানিস্তানের সমৃদ্ধি দেখছি।
‘আফগানিস্তানের উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ইরান এবং এই অঞ্চলে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে।’
রেলপথ চালু হওয়ায় ভীষণ খুশি আফগানিস্তানের রোজানাকের বাসিন্দারা। কৃষক আরবাব গুলাম রেজা বলেন, ‘আমাদের গ্রাম, শহর ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হতে যাচ্ছে।
‘কাজের সন্ধানে আমাদের তরুণ যুবকদের ইরানে যাওয়াটা ছিল খুবই কষ্টকর। এখন তারা ট্রেনের একটি টিকিট কিনবে এবং চলে যাবে।’