বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেল অবরোধের হুঁশিয়ারি কৃষকদের

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:১৯

তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

ভারতে বিক্ষোভের ১৫ তম দিনে সরকারকে চূড়ান্ত সময় দিলেন প্রতিবাদী কৃষকরা। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের সিংঘুতে কৃষক সংগঠনগুলোর পক্ষে বুটা সিং ঘোষণা করেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যদি তাদের কথা না শোনেন এবং কৃষি আইন প্রত্যাহারে কথা না জানান তাহলে দেশের বিভিন্ন অংশে রেল রোকো কর্মসূচির পথে হাঁটবেন তারা।

বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত অহং সরিয়ে রেখে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলছি। কৃষকরা বারবার বলছেন, আইনটি প্রত্যাহার করতে হবে। আইনের যে অংশ নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে কৃষকরা মনে করছেন, সেই অংশটি নিয়ে সরকার আলোচনা করতে রাজি আছে।’

তবে তিনি এটিও মনে করিয়ে দেন যে রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিস্তারিত আলোচনার পর এই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। সেখানে সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আইনসভার সদস্যরা।

তিনি সরাসরি কৃষকদের প্রস্তাব দিয়েছেন, যদি তারা চান, তাহলে সরকারের কাছে তাদের দাবিদাওয়া লিখিতভাবে জানাতে পারেন। আইনের যেকোনো দিক নিয়েই সরকার আলোচনা করতে রাজি আছে।

একাধিকবার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এখনও জট খোলেনি। কৃষকরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। সেই সময়েই নতুন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সমঝোতার প্রস্তাব দিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বৃহস্পতিবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন। সংসদ ভবনের ভূমিপুজো করে পরবর্তী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ছাড়াও গণতন্ত্র সর্বদাই মতামতের পার্থক্য নিরসনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্থক্য একটি গণতন্ত্রকে জোরদার করে। যদিও মতভেদের একটি নির্দিষ্ট স্থান থাকা উচিত, সেখানে কোনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া উচিত নয়।’ 

শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরুনানকের শিক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুরু নানক বলেছিলেন, যতদিন পৃথিবী বিদ্যমান, সংলাপ অবশ্যই চলতে হবে। কথা বলা এবং শোনা সংলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে। এটাই গণতন্ত্রের প্রাণ। নীতি ও রাজনীতিতে পার্থক্য থাকতে পারে, তবে মানুষের সেবা করার শেষ লক্ষ্য নিয়ে কোনো মতপার্থক্য হওয়া উচিত নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর