পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়িবহরে (কনভয়) হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
নাড্ডার প্রতিক্রিয়া, 'অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি।'
জেপি নাড্ডা
বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁর প্রস্তাবিত ডায়মন্ডহারবার সফরে যাওয়ার সময় কলকাতার উপকণ্ঠ শিরকোলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন।বিক্ষোভকারীদের দাবি, কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে হবে। ধ্বনি ওঠে 'গো ব্যাক বিজেপি'। যাত্রার একাধিক জায়গাতেই এ ধরনের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে।ডায়মন্ডহারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাইয়ের ছেলে অভিষেক ব্যানার্জির সংসদীয় এলাকা। তাই অভিযোগ সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধেই।
বিজেপি সভাপতি বলেন, 'রাজ্যে কোনো আইনের শাসন নেই। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়। কপালজোড়ে বেঁচে গিয়েছি।' ফের তিনি তৃণমূলকে পরাস্ত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে অনুরোধ করেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই বিজেপির সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা হয়। বহু গাড়ি ভেঙেছে। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নালিশ জানানো হয়। জানা গেছে, রাজ্য পুলিশের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে দিল্লি।
ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনিও পুলিশ প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছেন। তাঁর টুইট, 'রাজনৈতিক পুলিশের সামনেই তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়েছে।'
তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা ঘটার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। টুইট করে পুলিশ বলেছে, জেপি নাড্ডার কনভয়ে কিছুই হয়নি।
স্থানীয় সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, কনভয়ে হামলা আসলে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির দাবি, 'লোক নেই। তাই কনভয়ে হামলার নাটক করছেন।'
দলীয় সভাপতির কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে এদিন রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভে নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। চলে পথ অবরোধও।