ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
মঙ্গলবার রাতে তিনি জানান, জনগণ চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাবেন।
আগামী রোববার স্থানীয় আস্তাবল মাঠে জনগণকে তাদের মতামত জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লব।
আড়াই বছর আগে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা বিপ্লব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হন।
কিছুদিন আগে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের রাজ্য সফরের সময় বিজেপির বিপ্লব বিরোধীরা ‘বিপ্লব হঠাও, বিজেপি বাঁচাও’ স্লোগান দেয়। তাই নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে জনগণের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিপ্লব।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে ‘হটকারী’ হিসেবে দেখছেন বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতারা।
বিক্ষুব্ধ বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের ভোটে নির্বাচিত। জনগণ নির্বাচিত করেন বিধায়কদের। তাই বিধায়কদের আস্থা ভোট আমলে না নিয়ে নাটক করছেন বিপ্লব।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিপ্লবের সমর্থকদের পাশাপাশি বিরোধীরাও রোববার তাদের অনাস্থা জানাবেন। বিজেপির জোট শরিক আইপিএফটিও বিরোধিতা করেছে বিপ্লবের সিদ্ধান্তের।
এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বিপ্লব।
রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস দে বলেন, ‘আস্থা নিতে হলে বিধানসভায় ক্ষমতার পরীক্ষা দিন বিপ্লব। নয়তো পদত্যাগ করে ফের ভোটে যাক বিজেপি।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপির ঘরোয়া কোন্দলের কারণে রাজ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দিতে পারে। কারণ বিজেপিতে বিপ্লবের পক্ষ ও বিপক্ষ শিবিরের লড়াইয়ে গোটা রাজ্যেই ভেঙে পড়তে পারে আইনশৃঙ্খলা।’
সিপিএমের ভাষ্য, পুরোটাই বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল। এভাবে মানুষের আস্থা নেয়া যে ভারতের সংবিধানসম্মত নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তারা।