যুক্তরাষ্ট্রে নারী সেনা ভেনেসা গিয়েন হত্যার ঘটনায় ১৪ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত চলার মধ্যেই তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সেনাবাহিনী।
ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে কমান্ডার ও বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান রয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মেজর জেনারেল স্কট ইফলান্ড, জেফারি ব্রডওয়াটারসহ বাকিদের বরখাস্ত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কিলিন শহরে সেনাবাহিনীর ফোর্ট হুড ঘাঁটিতে খুন, যৌন নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগে ওইসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন ফোর্ট হুডে কর্মরত সেনা ভেনেসা গিয়েন। জুনের শেষের দিকে ২০ বছর বয়সী গিয়েনের দেহের অংশবিশেষ পাওয়া যায়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ফোর্ট হুডে গিয়েনকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
১ জুলাই পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত আর্মি স্পেশালিস্ট অ্যারোন রবিনসনকে হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি আত্মহত্যা করেন।
রবিনসন নিহত গিয়েনকে হয়রানি করতেন বলে অভিযোগ গিয়েনের পরিবারের। তবে গিয়েন যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হয়েছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
২২ এপ্রিল গিয়েন হত্যার তদন্ত কাজ শুরু হয়, যা এখনও শেষ হয়নি।যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি সেক্রেটারি রায়ান ম্যাককার্থি বলেন, ফোর্ট হুডের সহিংসতার জন্য নেতৃত্বের ব্যর্থতা দায়ী।
এ ছাড়া নিখোঁজ সেনাদের বিষয়ে নতুন নীতিমালার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সাংবাদিকদের ম্যাককার্থি বলেন, ‘গিয়েন হত্যা আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ ঘটনায় ফোর্ট হুড ও বড় পরিসরে বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে বিদ্যমান নানা সমস্যার দিকে গভীরভাবে নজর দিয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘সমালোচনার দৃষ্টিতে আমাদের ব্যবস্থা, নীতি ও নিজেকে বিচার করতে বাধ্য করেছে ওই হত্যাকাণ্ড।’
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মহত্যা, খুন বা দুর্ঘটনায় ফোর্ট হুডে দায়িত্বরত ২৫ সেনার মৃত্যুর এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মঙ্গলবার কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিল।