বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরানের বিজ্ঞানীকে হত্যা ‘স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত মেশিনগানে’

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:০৯

বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডার বলেন, মেশিন গানটি ‘কেবল ফাখরিজাদেহর মুখের ওপর দৃষ্টি রাখছিল। মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার দূর বসে থাকা সত্ত্বেও তার স্ত্রীকে গুলি করা হয়নি।’

স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত মেশিনগানের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ইরানের শীর্ষ পারমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যা করা হয় বলে দাবি দেশটির বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডারের।

তেহরানের নিকটে ২৭ নভেম্বর ফাখরিজাদেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই গুপ্তহত্যার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইরান।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা অর্জনের কার্যক্রমে এই বিজ্ঞানীকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও তেহরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক প্রযুক্তি অস্ত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে নয়।

ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমকে রোববার দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার আলি ফাদাবি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কোনো সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল না…অস্ত্রের সঙ্গে থাকা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ক্যামেরা যখন ফাখরিজাদেহর ওপর জুম করা হয়েছিল, তখন তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

‘মেশিনগানটি রাখা হয়েছিল একটি পিক-আপ ট্রাকে এবং স্যাটেলাইট দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।’

এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েল ও নির্বাসিত বিরোধী দল জড়িত বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইরান। অবশ্য এ অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করছে না ইসরায়েল।

তেহরানের পার্শ্ববর্তী একটি শহরে গাড়ি করে যাওয়ার সময় বিজ্ঞানী ফাখরিজাদেহকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এর পুরো চিত্র তুলে ধরেছে ইরানের কর্তৃপক্ষ।

যদিও এই বিজ্ঞানীকে হত্যার দিন ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডের সময় ফাখরিজাদেহর দেহরক্ষী ও বেশ কয়েক জন বন্দুকধারীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ইরানিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, এই ঘটনায় ‘সন্ত্রাসী সন্দেহে তিন থেকে চার জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে’। ঘটনাস্থলে নিশান ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়।

তেহরানে ফাখরিজাদেহর জানাজায় ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রধান বলেছিলেন, এ হামলা ছিল দূরনিয়ন্ত্রিত। তাতে ‘বিশেষ কিছু পদ্ধতি’ অবলম্বন এবং ‘বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম’ ব্যবহার করা হয়। তবে এসব দাবির বিপরীতে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

জেনারেল ফাদাভি রোববার এক অনুষ্ঠানে জানান, নিশান পিকআপটিতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন স্যাটেলাইট সিস্টেম যুক্ত ছিল, এটা ফাখরিজাদেহর ওপর জুম করা হয়েছিল’।

বিপ্লবী গার্ডের এই কমান্ডার আরও বলেন, মেশিন গানটি ‘কেবল ফাখরিজাদেহর মুখের ওপর দৃষ্টি রাখছিল। মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার দূর বসে থাকা সত্ত্বেও তার স্ত্রীকে গুলি করা হয়নি।’

ঘটনাস্থলে কোনো মানব আক্রমণকারী ছিল না বলে জানিয়ে ফাদাভি বলেন, ‘মোট ১৩টি গুলি করা হয়। সবগুলোই করা হয় নিশানে থাকা ওই অস্ত্র থেকে’। এর মধ্যে চারটি গুলি লাগে ফাখরিজাদেহর নিরাপত্তা প্রধানের শরীরে, এই বিজ্ঞানীকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে ‘কঠিন শাস্তি’ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনি।

এ বিভাগের আরো খবর