করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্তদের ত্রাণ সহায়তার কার্যক্রম থেকে ১২ লাখ ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এএফপির খবরে বলা হয়, শনিবার এক স্টিং অপারেশনে বেশ কয়েকটি সুটকেস, ব্যাকপেক ও এনভেলপ আটক করে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন।
তাতে ১২ লাখ ডলার সমমানের ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া পাওয়া যায়। এসব অর্থের পেছনে উঠে আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জুলিয়ারি বাতুবারার নাম।
ঘটনার পর দিন রোববার জাকার্তায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বাতুবারা। এই নিয়ে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর দুইজন মন্ত্রী ঘুষ নেয়ার অভিযোগ গ্রেফতার হলেন।
বাতুবারাকে গ্রেফতারের পর উইদোদো বলেছেন, দুর্নীতিগ্রস্থ কাউকে উদ্ধার করবেন না তিনি। বলেন, ‘এসব জনগণের টাকা…কোভিড-১৯ এর সময়ে সহযোগিতা এবং জাতীয় অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য এ অর্থের খুব দরকার ছিল।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়া। অন্যদের মতো তাদের জন্যও করোনা সংকট বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। কঠিন এই সময়ে নিজেদের অসহায় নাগরিকদের জন্য খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করে বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ দেশটির সরকার।
সরকারের ত্রাণ সহায়তার এসব উদ্যোগ থেকে বাতুবারা অনেক অর্থ সরিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের দাবি, করোনায় ত্রাণ দিতে নিয়োগ পাওয়া দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখের বেশি ডলার ঘুষ নিয়েছেন বাতুবারা।
অভিযোগ উঠেছে, বাতুবারা প্রতি প্যাকেজ ত্রাণ থেকে ১০ হাজার রুপিয়া বা দশমিক ৭১ ডলার করে ঘুষ নিয়েছেন।
ত্রাণ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে বাতুবারার। সেই সঙ্গে জরিমানা হতে পারে ১০০ কোটি রুপিয়া (৭০ হাজার ডলার)।