ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তির অচলাবস্থা নিরসনের পথ খুঁজছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দের লায়েন।
ব্রেক্সিট বিষয়ে এক সপ্তাহ ধরা চলা আলোচনার পরও ‘গুরুত্বপূর্ণ বিভক্তি’ রয়েছে বলে মনে করছেন উভয় পক্ষের আলোচকরা। তাই দুই নেতাকে স্থানীয় সময় শনিবার বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাণিজ্যনীতি থেকে বের হয়ে আসার কথা যুক্তরাজ্যের। তাই এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে খুব বেশি সময় নেই দেশটির।
যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হলেও মৌলিক কিছু বিষয়ে চুক্তি হওয়ার বাকি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাছ ধরার অধিকার, ব্যবসা-বাণিজ্যে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির নিয়ম ও চুক্তি কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সেগুলো উল্লেখযোগ্য।
আলোচনায় যুক্তরাজ্যের পক্ষের এক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, চলতি সপ্তাহের শুরুতে অনুষ্ঠিত দুই পক্ষের আলোচনা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক ছিল। তবে যুক্তরাজ্যের পানিতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর ১০ বছর মাছ ধরার নৌকা প্রবেশসহ কয়েকটি বিষয় আলোচনার অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এদিকে ফ্রান্সের ইউরোপবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, চুক্তিতে সন্তুষ্ট না হলে ভেটো দেবে তার দেশ। যুক্তরাজ্যের পানিতে মাছ ধরার প্রবেশাধিকার হারাতে চাইবেন না ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
অন্যদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, ‘আপসের পথ সবসময় খোলা আছে।’