আলোচনাটা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। এবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ ভিসা চালু করেছে আরব দেশটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা ডব্লিউএএম বৃহস্পতিবার এ খবর জানায়।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এয়ারলাইন্স, ভ্রমণ ও পর্যটন দফতরের মাধ্যমে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভ্রমণ ভিসা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে’ আবু ধাবির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় আরব আমিরাত। এরপর একের পর এক পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি করে যাচ্ছে দেশ দুটি।
এবার নব্য বন্ধু দেশটির নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ ভিসাও চালু করল আরব আমিরাত। ১৩টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্তের এক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘোষণা দিল তারা।
তবে ইসরায়েলের নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসা দেয়ার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তা আপাত সময়ের জন্য। পারস্পরিক ভিসা ছাড়ে কোনো চুক্তি হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে। আরব আমিরাতের নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ডব্লিউএএমের খবরে জানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য আরব আমিরাত ভ্রমণ সহজ করা।
করোনা মহামারি আরব আমিরাত ও ইসরায়েল উভয় দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। পারস্পরিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে চায় দেশ দুটি।
আরব আমিরাত ও ইসরায়েল এরই মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল, ভিসামুক্ত ভ্রমণ, জ্বালানি, বিনিয়োগ সুরক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত নানা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের তালিকায় তৃতীয় আরব দেশ আরব আমিরাত। তাদের আগে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।
অবশ্য আমিরাতের পর দ্রুত আরও দুটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পাতার ঘোষণা দেয়। অক্টোবরে এমন ঘোষণা দেয়া দেশ দুটি হলো বাহরাইন ও সুদান।
শত্রুদের সঙ্গে বন্ধু দেশগুলোর এমন চুক্তিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনে শাস্তি ফেরার আগে ইসরায়েলের সঙ্গে এই ধরণের সম্পর্ক গড়া মোটেও উচিত হবে না।