ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে হিন্দু এক নারীকে ধর্মান্তরিতের চেষ্টার অভিযোগে এক মুসলমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার উত্তর প্রদেশের বেরেলি জেলার পুলিশ এক টুইটবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের নতুন ধর্মান্তরবিরোধী আইনে এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হয়।
হিন্দু নারীকে বিয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা ধর্মান্তরিত করছে এমন অভিযোগ করে আসছে উগ্রপন্থি কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। ধর্মান্তরিতের এই প্রক্রিয়াকে তারা ‘লাভ জিহাদ’ নাম দিয়েছে।
ভারতে এই আইনের প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্লেষকেরা একে ‘ইসলামোফোবিক’ আখ্যায়িত করেন।
উত্তর প্রদেশের মতো মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক ও আসাম রাজ্যও লাভ জিহাদের বিপক্ষে আইনের খসড়া করছে। ওই পাঁচ রাজ্য শাসন করছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
ওই নারীর বাবা বিবিসিকে জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি তার মেয়েকে ধর্মান্তরিত হতে ‘চাপ’ দিচ্ছিলেন। রাজি না হলে তিনি মেয়েকে হুমকি দেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। একসময় ব্যক্তিটির সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে অন্য জায়গায় তার মেয়ের বিয়ে হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এক বছর আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে ওই নারীর পরিবার। কিন্তু তাকে ফিরে পাওয়ার পর মামলা তুলে নেয় পরিবারটি।
বুধবার গ্রেফতারের পর অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
অজামিনযোগ্য ধর্মান্তরবিরোধী আইনে দোষীকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
গত মাসে ‘জোরপূর্বক’ বা ‘প্রতারণাপূর্ণ’ ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে প্রথম এ আইন পাস হয়।