বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে আইন পাস

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:০৫

এর ফলে আরোপিত অবরোধ দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পগুলোতে ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে পারবে ইরান। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের এই মাত্রা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির শর্তের চেয়ে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ রোধে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে নতুন আইন অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট।

এর ফলে আরোপিত অবরোধ দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পগুলোতে ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে পারবে ইরান। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের এই মাত্রা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির শর্তের চেয়ে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের টানাপড়েন বহু দিনের। দেশগুলোর অভিযোগ-পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি। যদিও এ অভিযোগ সব সময়ই প্রত্যাখান করে যাচ্ছে তেহরান।

বিষয়টি নিয়ে চরম টানাপোড়েনের এক পর্যায়ে ২০১৫ সালে ছয় শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে ইরান।

চুক্তির শর্ত ছিল, পারমাণবিক কর্মসূচিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ একটা পর্যায় পর্যন্ত সীমিত রাখবে ইরান। সেই সঙ্গে তাদের যেকোনো পারমাণবিক স্থাপনায় যেকোনো সময় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করতে পারবে। বদৌলতে, ইরানের ওপর থেকে দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।

কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। সেই সঙ্গে ইরানের ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করে দেশটি।

এ অবস্থায় চুক্তির সুষ্ঠু কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইরানও। অবরোধ প্রত্যাহার না করা হলে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের অন্যতম উপাদান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছিল দেশটি।

নতুন আইন অনুমোদন করে এই পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ইরান।

দেশটির শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাকরিজাদেহ গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার এক সপ্তাহ পার না হতেই আইনটি পাশ হলো।

ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল অনুমোদিত আইনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের চুক্তিতে সই করা ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে তেহরান দুই মাস সময় বেধে দিচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে সরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জ্বালানি ও অর্থনৈতিক খাতের ওপর যেসব অবরোধ আরোপ করেছে তা প্রত্যাহার করে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবরোধগুলো প্রত্যাহার না করা হলে ইরান সরকার পারমাণবিক স্থাপনা নাতাঞ্জ ও ফোরডৌয় ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে নিয়ে যাবে। অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ বসানো হবে, যা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামে ব্যবহার করা হয়।

সেই সঙ্গে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে জাতিসংঘের পরিদর্শন বন্ধ করে দেয়া হবে।

আইনটি প্রসঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ফার্স নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট স্পিকার আনুষ্ঠানিক এক চিঠিতে আইনটির প্রয়োগ নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চেয়েছেন।

অবশ্য পার্লামেন্টে অনুমোদনের আগে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছিলেন, এই আইনের সঙ্গে একমত নয় তার সরকার। আইনটি ‘কূটনীতির জন্য ক্ষতিকর’ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর