জলকামানের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল জাতীয় সড়ক ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভ মিছিল। ক্রমাগত জলকামানের তোড়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই মিছিলে অংশ নেয়া ৫৫ বছর বয়সী লুধিয়ানার কৃষক গজ্জন সিংয়ের। ঘটনাটি দিল্লি- হরিয়ানা সীমান্তে ঘটে।
হরিয়ানা সরকারের জলকামান ব্যবহারের কারণেই এ মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করছেন কৃষকেরা। নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের বিদ্রোহ চলছে কয়েক দিন ধরে। এর মধ্যে কৃষক মৃত্যুর অভিযোগ নয়া মাত্রা যোগ করল।
এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, ‘কালো কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে দেশের কৃষকেরা দিল্লিতে এসেছেন। এখন ঠিক করতে হবে, সত্য ও অসত্যের লড়াইয়ে আপনি কাদের পাশে থাকবেন!’
রোববার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে গজ্জন সিংয়ের। ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে লাগাতার জলকামানের মুখোমুখি হবার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই কৃষক। আর তার জেরেই তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। সোমবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চাননি কৃষকেরা। তাদের দাবি, এ ঘটনায় হরিয়ানা সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
গজ্জন সিংয়ের দেহ বাহাদুরগড় সিভিল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে এদিন রাহুল গান্ধী বলেছেন,‘কৃষকেরাই দেশের শক্তি। প্রশ্ন ওঠে, আজ তারা রাস্তায় নেমেছেন কেন? হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তারা কেন দিল্লিতে আসছেন? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, নয়া কৃষি আইন কৃষকদের ভালোর জন্যেই। যদি তাই হয়, তাহলে কৃষকেরা ক্ষোভে ফুঁসছেন কেন? চাষীরা খুশি নন কেন? আসলে এই আইন নরেন্দ্র মোদির পুঁজিপতি বন্ধুদের জন্যে। এখন ঠিক করতে হবে আমাদের কাদের পাশে দাঁড়াতে হবে – অন্নদাতা কৃষকের নাকি প্রধানমন্ত্রীর ধনতন্ত্রী বন্ধুদের। এই আইন কৃষকদের ঠকানোর আইন। আর তাই এখন আমাদের কৃষকদের পাশের দাঁড়াতে হবে। দেশের শক্তির জন্য লড়তে হবে।’