পশ্চিমবঙ্গে ভোট মে-জুন মাসে। কিন্তু এখনই জমে উঠছে আক্রমণ, আর পাল্টা আক্রমণ। মূল লড়াই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির। ভোটের দামামা বাজার আগেই শুরু হয়েছে বিবৃতির লড়াই।
বিজেপি এবার তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য করেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাইপো সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিকে। খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রয়েছেন আক্রমণের নেতৃত্বে।
পাল্টা জবাব দিচ্ছে তৃমমূলও। তাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্যও দিলীপ ঘোষই।
আক্রমণ বা পাল্টা আক্রমণে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের লক্ষণ রেখা নিয়ে কোনো পক্ষই তাদের ভাষণে সচেতনতার পরিচয় দিতে চাইছেন না।
অভিষেকের নাম উল্লেখ না করেই এতোকাল বিজেপি তাকে ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করতো। কিন্তু রোববার অভিষেক দিলীপ ঘোষকে ‘গুন্ডা-মাফিয়া’ বলতেই শুরু হয়েছে সরাসরি আক্রমণ।
অভিষেক বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমার নাম নিয়ে কিছু বলুক।’ দিলীপ বললেন, ‘উনি ভাইপো। আমাদের খোকাবাবু। সবাই জানেন। সবাই চেনেন তাকে।’
সোমবারই দিলীপ আইনি নোটিশও পাঠালেন অভিষেকের বিরুদ্ধে। আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘গুন্ডামির দেখেছেন কি! জঙ্গলমহলে, পাহাড়ে সমস্ত গোলমেলের বদলা নেবে বিজেপি।’
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এরই মধ্যে তৃণমূলের মহাসচিব পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও যোগ দেন বিবৃতি যুদ্ধে। পার্থের পাল্টা কটাক্ষ, ‘দিলীপবাবু তো পাগলাবাবু। ওনার কথার কোনো গুরুত্ব আছে নাকি!’
সিপিএম বা কংগ্রেসও ‘ভাইপো’কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই মতে, এই ‘ভাইপো’ই এখন ‘পিসি’কে পথে বসাতে চলেছেন।
কারণ তৃণমূলের বহু নেতাই ‘ভাইপো’কে সহ্য করতে পারছেন না। তারা দল ছাড়ছেন মমতা ব্যানার্জির ভাইপোর কারণেই। এমন অভিযোগ তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়। কিন্তু ভাইপোর প্রতি পিসির স্নেহ এখনও অটুট। এটাই সুবিধা করে দিচ্ছে বিজেপিকে।
সবমিলিয়ে এখন থেকেই জমজমাট ভোটের বাজার। করোনাকালেও রাজনৈতিক উত্তাপে কোনো ঘাটতি নেই।