যুক্তরাষ্ট্রে আগামী কয়েক সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ‘একের পর এক ধাক্কা’ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির শীর্ষ ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি।
দেশটিতে ‘থ্যাংকসগিভিং ডে’ উদযাপন শেষে লাখ লাখ মানুষ ঘরে ফিরছে। তাদের উদ্দেশে স্থানীয় সময় রোববার তিনি এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফাউচি বলেন, ‘এখনও খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি। যারা ভ্রমণ করেছেন, তারা মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চললে করোনার বিস্তার রোধ করা সম্ভব।’
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষের।
নভেম্বরে দেশটিতে করোনায় শনাক্ত ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় দ্বিগুণ।
করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় এ বছর থ্যাংকসগিভিং ডে ঘরে উদযাপনের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ সপ্তাহে দেশটির বিমানবন্দর মধ্য মার্চের পর সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় পার করেছে। অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক মানুষ ঘরের বাইরে বেরিয়েছে।
দেশটির ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে আট থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বিমানে ভ্রমণ করেছেন।
সিএনএনের ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, ‘ভ্রমণের কারণে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই সংক্রমণ বাড়বে।’
অন্য একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে থ্যাংকসগিভিং ডে শেষে ভ্রমণকারীদের ‘সম্ভব হলে’ কয়েক দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন ফাউচি।
ফাউচির উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করে হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস রেসপন্স কোঅর্ডিনেটর ড. ডেবোরাহ বিরক্স সিবিএস নিউজকে জানান, থ্যাংকসগিভিং ডে উপলক্ষে যারা ভ্রমণ করেছেন, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের সঙ্গে দেখা করা থেকে তাদের বিরত থাকা উচিত।