বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ভারত। সংকট কাটাতে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির অধিকাংশ কৃষক সংগঠন।
কৃষক বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সভাপতি যোগিন্দার সিং উগ্রাহন বলেন, ‘দিল্লি সীমানা বন্ধ না করে বুরারিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করার আর্জি জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু আমরা সেখানে যাব না।
‘সীমানা আটকে থাকলে অসুবিধা হয় বুঝছি। তাই আর্জি জানিয়েছি, যাতে যতন্তরমন্তরেই সরকার আমাদের বিক্ষোভের অনুমতি দেয়।’
যোগিন্দার সিংয়ের দাবি, তারা একা নয়। অনেক সংগঠন বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে।
কেন্দ্র তাদের নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান এ কৃষক নেতা।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, কৃষকরা তিন ডিসেম্বরের আগে আলোচনায় বসতে চাইলে সরকার রাজি আছে। নির্দিষ্ট স্থানে তাদের অবস্থান সরিয়ে নিলে পরদিনই আলোচনায় বসবে সরকার।
ভারত সরকারের ঠিক করে দেয়া বুরাড়িতে অবস্থান সরিয়ে নেয়ার কথা বলেন শাহ। এ নিয়ে কৃষক নেতা যোগিন্দার সিং উগ্রাহন, জগজিৎ সিং ডালেওয়াল ও বলবির সিং রাজেওয়ালকে ফোন করেছিলেন বলেও জানান অমিত শাহ।
তবে কেন্দ্রের দেয়া জায়গার বদলে দিল্লির যন্তরমন্তরেই বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্তে অনড় কৃষকদের সংগঠনগুলো।
ভারত সরকারের তিনটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে। প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠন নরেন্দ্র মোদি সরকারের আইনগুলো বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করছে।
তাদের দাবিগুলো হলো নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার, টেকসই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন বলবৎ ও বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার।
দাবি আদায়ে ডাকা ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষকরা জড়ো হতে থাকেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। দিল্লিতে প্রবেশের পাঁচ সড়কপথেই অবস্থান নিয়েছেন কৃষকরা।
তবে রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি দেশটির সরকার। কৃষকদের হটাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। তবে তাতে দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। রোববারও সেই আন্দোলনের তীব্রতা বজায় রয়েছে।