নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যে ধান মাড়াইয়ে কর্মরত অন্তত ৪৩ জন কৃষি শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের বিরুদ্ধে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মায়দুগুরি শহরের পাশে শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জঙ্গিবিরোধী বাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
কোশোবে নামক গ্রামে হামলাকারীরা কৃষি শ্রমিকদের বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের গলা কাটা হয়।
এই ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচাদের সহযোগিতা করা জঙ্গিরিবোধী বাহিনীর নেতা বাবাকুরা কোলো বলেন, ‘আমরা ৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের সবাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত ছয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
‘কোনো সন্দেহ নেই, এই কাজ বোকো হারামের। এই এলাকায় তারা সক্রিয় এবং প্রায়ই তারা কৃষকদের ওপর হামলা চালায়।’
জঙ্গিবিরোধী মিলিশিয়া বাহিনীর আরেক সদস্য ইব্রাহিম লিম্যান জানান, নিহত-আহতরা উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার সোকোটো রাজ্যের শ্রমিক। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল মায়দুগুরিতে কাজের সন্ধানে এসেছিল তারা।
‘চুক্তির ভিত্তিতে ধান মাড়াইয়ের জন্য এখানে ৬৩ জন কৃষক ছিল। এর মধ্যে ৪৩ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ছয় জন।’
লিম্যান জানান, এ ঘটনায় আরও আট কৃষকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, জঙ্গিরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দা মালা বুনু জানান, মৃতদেহগুলো দুই কিলোমিটার দূরের জাম্বারমারি গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার তাদের সমাহিত করার কথা।
২০০৯ সালে ওই অঞ্চলে বোকা হারামের তৎপরতা শুরুর পর এটাকে অন্যতম জঘন্য হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোক জানান নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি, ‘বোর্নো রাজ্যে সন্ত্রাসীদের কর্তৃক আমাদের কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের ওপর এই হত্যাকাণ্ডের আমি তীব্র নিন্দা জানাই। কাণ্ডজ্ঞানহীন এই হত্যাকাণ্ডে গোটাদেশ শোকাহত।’
গত মাসেও কৃষকদের ওপর এমন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বোকো হারাম। মায়দুগুরির পাশে জমিতে পানি সেচ দেয়ার সময় পৃথক দুটি আক্রমণে ২২ জন কৃষককে গলা কেটে হত্যা করে তারা।