ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা থেকে শুক্রবার ইস্তফা দিলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের আগে এ ঘটনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই নেতা নিজেই জিইয়ে রেখেছিলেন তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা।
তবে রাজ্য রাজনীতির অত্যন্ত জনপ্রিয় তরুণ নেতা শুভেন্দুর মান ভাঙাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি মমতা। দলের তরফে অনেকেই ছুটে গিয়েছিলেন অধিকারী পরিবারে।
পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার রাজ্য রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ভারতের সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ। আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতিও।
শুভেন্দুর ভাই দিব্যুন্দুও তৃণমূলের সাংসদ। আরেক ভাই পুরসভার দায়িত্বে। ফলে গোটা পরিবারেরই দাপট সহজবোধ্য।
শুভেন্দু এর পর কী করবেন, এখনও কিছু বলেননি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।’
চিঠির প্রতিলিপি ই-মেলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও পাঠান তিনি। রাজ্যপাল ট্যুইট করে চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, সংবিধান মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার শুভেন্দু হুগলি রিভার ব্রিজ কমিটি থেকে ইস্তফা দেন। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার আগেই রাজ্য সরকারের দেয়া কার ও নিরাপত্তা বন্দোবস্ত ছেড়ে দেন তিনি।
তবে এখনও জানা যায়নি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। ঘনিষ্ঠমহলের অনুমান, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়ছেন তিনি। যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।
তবে আঞ্চলিক দল গড়া বা কংগ্রেসে যোগ দেয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে যাচ্ছে না।