বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ মিছিলে বাধা, আটক ১০৫

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:০৬

চলতি বছরের শুরুতে ভারতে নতুন কৃষি আইন পাস হয়। এতে বলা হয়, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাজারে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির পরিবর্তে কৃষকরা যে কারও কাছে তাদের পণ্য যে কোনো মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।

বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি অভিমুখে পাঞ্জাব রাজ্যের কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হরিয়ানা রাজ্যের সিনঘু সীমান্তে মিছিলটি পৌঁছলে ১০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয় বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছত্রভঙ্গ করায় কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকতে পারেননি। বৃহস্পতিবার দিল্লির জন্তর মন্তর ও মজনু খা টিলা থেকে ১০৫ জন কৃষককে আটক করে পুলিশ।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিক্ষোভরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে আমরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কোনো ধরনের সমাবেশ ও ধর্ণা করা যাবে না বলে জানানো হয় তাদের।

‘তাদের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি ছিল না। বিক্ষোভকারীরা দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে বিক্ষোভকারীরা যাতে দিল্লিতে ঢুকতে না পারে, এ জন্য শহরটির সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বালুবোঝাই ট্রাক ও জলকামান ও সিনঘু সীমান্তে কাঁটাতার দেয়া হয়েছে।

‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাঞ্জাবের ৩০টি খামারের হাজার হাজার কৃষক লালরু, শম্ভু, পাটিয়ালা-পেহোয়া, পেট্রান-খানাউরি, মুনাক-তোহানা, রাতিয়া-ফাতেহাবাদ ও তালওয়ান্দি-সিরসা পথে দিল্লিতে ঢোকার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

কৃষকদের বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধে হরিয়ানা রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের ১৪৪ ধারার অধীনে নিষিদ্ধাদেশ আরোপ করে রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ।

কৃষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দিল্লি অভিমুখে তাদের মিছিল যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই তারা ধর্ণা দেবেন।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে ভারতে নতুন কৃষি আইন পাস হয়। এতে বলা হয়, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাজারে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির পরিবর্তে কৃষকরা যে কারও কাছে তাদের পণ্য যে কোনো মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, আইনটি দেশের কৃষিখাতের সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটাবে। এতে লাখ লাখ কৃষকের ক্ষমতায়ন হবে এবং বিনিয়োগ ও আধুনিকীকরণকে উৎসাহিত করা হবে।

কিন্তু পাঞ্জাবে ক্ষমতাসীন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি কৃষকদের বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলে, আইনটির ফলে কৃষকদেরকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো করায়ত্ব করে ফেলবে। 

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন, ‘প্রায় দুই মাস ধরে কৃষকরা পাঞ্জাবে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছেন। এ আইন কৃষকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। যারা জাতির মুখে খাবার তুলে দেন, তাদের পক্ষে কাজ করতে হয়, বিপক্ষে নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর